বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় বিমানবন্দর থেকে জুলাই বিপ্লব এক্সপ্রেসওয়ে পর্যন্ত ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। এই জনসমাগমে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (আনসার-ভিডিপি) সুসংগঠিত নিরাপত্তা মোতায়েন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মো. আশিকউজ্জামান উপপরিচালক ও গণসংযোগ কর্মকর্তার পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষা, যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক রাখা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলায় এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আনসার-ভিডিপি সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ ও বহির্গমন পয়েন্টসমূহে আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরের বিভিন্ন জোন ও কৌশলগত স্থানে অতিরিক্ত সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন, যা বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করেছে।
বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অঙ্গীভূত আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ইনসাইড টার্মিনাল, ড্রাইভওয়ে, ক্যানোপি এলাকা এবং ল্যান্ডসাইড ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় কয়েক শতাধিক আনসার সদস্য মোতায়েন থাকায় জনসমাগম ও যান চলাচল কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।
এছাড়া পূর্বাচল তিনশ’ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিশেষায়িত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্য কৌশলগত স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নাসা গ্রুপের অভ্যন্তরে স্থাপিত অস্থায়ী হেলিপ্যাড এলাকাতেও আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা সার্বক্ষণিক সতর্ক অবস্থানে দায়িত্ব পালন করছেন।
সার্বিকভাবে এ নিরাপত্তা কার্যক্রমে মোট ৬৫০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। এর মধ্যে ২৫০ জন আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্য এবং ৪০০ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে এ নিরাপত্তা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, শৃঙ্খলা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
এফপি/এমআই