রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসান শাহাদাতের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন রিমান্ড শেষে সাংবাদিক আলমগীরকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শাহনেওয়াজ।
আবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে মামলাসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এসব তথ্যাদি যাচাই-বাচাই করে তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেলে আসামিকে পুনরায় রিমান্ডে আনার প্রয়োজন হতে পারে বলেও আবেদনে উলেখ করা হয়।
শুনানিতে আসামিপক্ষের আইনজীবী নাজনীন নাহার ও অন্য আইনজীবীরা কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। (১৫ ডিসেম্বর) আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। (১৪ ডিসেম্বর) জুলাই রেভলুশনারি এলায়েন্সের সংগঠক আরিয়ান আহমেদ বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি করেন। এতে সাংবাদিক আনিস আলমগীর ছাড়াও মেহের আফরোজ শাওনকে আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফলে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন। তবে তার অনুসারীরা দেশের ভেতরে বিভিন্ন কৌশলে ঘাপটি মেরে অবস্থান করে দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং রাষ্ট্রের অবকাঠামো ধ্বংসের লক্ষ্যে রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করে আসছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের (৫ আগস্টের) পর থেকে আসামিরা সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরায় ফিরিয়ে আনার উদ্দেশ্যে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে আসছে।
এফপি/জেএস