দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলা পাবনায় শুরু হয়েছে বীজতলা তৈরির মৌসুম। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুজানগর, সাঁথিয়া, চাটমোহর ও বেড়া উপজেলায় কৃষকদের কর্মব্যস্ততা বেড়েছে কয়েকগুণ। পেঁয়াজের চারা তৈরিতে এখন দিন-রাত এক করে মাঠে কাজ করছেন চাষিরা।
এ বছর জেলায় ৪৪ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক উন্নত পদ্ধতিতে বীজতলা প্রস্তুত ও চারা রোপণ শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে গতবারের তুলনায় উৎপাদন আরও বাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
চাষের শুরুতেই সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সার সংকট। অভিযোগ রয়েছে—সরকারি ডিলারের কাছ থেকে নির্ধারিত দামে সার পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কৃষকদের খুচরা বাজার থেকে বাড়তি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে চাষাবাদের ব্যয় বেড়ে উদ্বেগে পড়েছেন তারা।
কয়েকজন কৃষক বলেন—
“সঠিক দামে সার পাওয়া যাচ্ছে না। খুচরা বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।”
সার, বীজ, শ্রমিক সব খরচ বাড়ছে,
এদিকে উৎপাদন বাড়লেও মৌসুমে পেঁয়াজ আমদানির কারণে দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কা এখন থেকেই তাড়া করছে কৃষকদের মাথায়।
প্রশাসনের আশ্বাস—সুবিধা অব্যাহত থাকবে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক বলেন—
“বিগত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বেশি। কৃষক যেন সারসহ সব ধরনের সুবিধা পান—সেজন্য মাঠ পর্যায়ে তদারকি জোরদার করা হয়েছে।”
সব বাধা-দুশ্চিন্তার মাঝেও পেঁয়াজের ভান্ডার পাবনার কৃষকরা আশাবাদী। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সঠিক সময়ে পেলে চলতি মৌসুমে ভালো ফসল ঘরে তুলতে পারবেন বলে আশা করছেন কৃষক পরিবারগুলো।
এফপি/অ