আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলায় আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে গোলাগুলিতে এক নিহত ও এতে আরও চার জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যায় কাউখালী ও রাঙ্গুনীয়া উপজেলার দুর্গম রইশ্যাবিলি নামক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে নিহত ও আহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুর রহমান সোহাগ বুধবার রাতে গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও চারজন আহত হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন বলে জানান। তিনি স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) ও প্রসীত গ্রুপের পন্থি ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)'র সশস্ত্র দু'গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহত ও আহতদের নাম ঠিকানা জানাতে পারেননি।
স্থানীয় সূত্রগুলো থেকে জানা যায়, এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)'র নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বেশি কিছু দিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু লারমার দল সেটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছিলো। ধারণা করা হচ্ছে এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে আরও জানা যায় এসময় উভয়ের মধ্যে প্রায় ১৫০ রাউন্ড গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে।
সহকারী পুলিশ সুপার (কাউখালী সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার দুর্গম মিতিঙ্গাছড়ি ইউপিডিএফ অধ্যুষিত এলাকা। আধিপত্য বিস্তারের জন্য জেএসএসের সশস্ত্র গ্রুপ সেখানে গেলে ইউপিডিএফের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে জেএসএসের এক কর্মী নিহত হয়েছে। তবে নিহতের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এলাকাটা দুর্গম হওয়ায় পুলিশ পৌঁছাতে সময় লাগছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ফিরে আসার পর বিস্তারিত জানা যায়।
এফপি/অ