শোবিজের জনপ্রিয় মুখ জয়া আহসান। নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ ও ভারতে। কলকাতার সিনেমায় ইতিমধ্যেই নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছেন। ২০১৩ সালে ‘আবর্ত’ সিনেমা দিয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমায় পা রাখেন জয়া। আর প্রথম সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পান আবির চ্যাটার্জিকে। এরপর তারা কাজ করেছেন বেশ ক’টি সিনেমায়।
আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) আবির চ্যাটার্জির জন্মদিন। এ উপলক্ষে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে কথা বলেছেন জয়া। সেরা বন্ধুকে নিয়ে নানা তথ্য জানিয়েছেন ‘বিসর্জন’খ্যাত এই অভিনেত্রী।
জয়া আহসান বলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে নানা ধরনের মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। আবির হলো তাদের মধ্যে অন্যতম। অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট একজন মানুষ। ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবির। পর্দায় তো আমাদের একসঙ্গে অনেক রোমান্টিক কাজ করতে হয়, ও আমার এতটাই ভালো বন্ধু, এত দুষ্টুমি আর মজার সম্পর্ক ওর সঙ্গে যে, কাজ নিয়ে ভাবতেই হয় না; সবকিছু খুব সহজ হয়ে যায়।’
মানুষকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেন না আবির। এ তথ্য উল্লেখ করে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি কখনো দেখিনি ও কোনো আড্ডায় বা কখনো কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবিরকে কখনো বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টক-ঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না অথবা আমরা দেখতে পাই না।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঘটনা বর্ণনা করেন জয়া আহসান। বলেন, ‘“পুতুল নাচের ইতিকথা”র জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবির ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারো তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সকলে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সকলে আবিরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে, আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবির খুব সুন্দরভাবে সামাল দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আবিরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার, কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আবির খুব সুন্দরভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেইনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে।’
পেশাগত জায়গা ও পরিবার একই সঙ্গে দক্ষ হাতে সামলান আবির। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে জয়া আহসান বলেন, ‘আসলে ওর মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার। ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেক নয়। আমি চাই, ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি, কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা বার বার ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে।’
এফপি/অ