অবশেষে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাঞ্ছারামপুরের বিএনপির পাঁচ নেতার ঐক্যবদ্ধ হলো।একাধিক গ্রুপিংয়ে জর্জরিত উপজেলা বিএনপি (১৭ নভেম্বর) ঢাকায় একটি রেষ্টুরেন্টে ঘন্টাব্যাপী বৈঠক শেষে তারা একমত হন, উপজেলা বিএনপিকে রক্ষা করতে যাকেই ধানের শীষের প্রার্থী দেয়া হক সবাই মিলে এখন থেকে তার পক্ষেই কাজ করে যাবে।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতার মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে তারা একযোগে কাজ করার ঘোষণা দেন বলে জানান বৈঠকের মূল সমন্বয়কারী বাঞ্ছারামপুরের সন্তান ও ঢাকা মহানগর (উত্তর)যুবদল নেতা লিটন সরকার।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তিনজন সদস্য সহ মোট পাঁচজন যথাক্রমে এমএ খালেক পিএসসি (সাবেক এমপি),এডভোকেট রফিক সিকদার ,এডভোকেট জিয়া উদ্দিন জিয়া, কৃষিবিদ মেহেদি হাসান পলাশ (সভাপতি উপজেলা বিএনপি), ভিপি একেএম মুসা (সাধারণ সম্পাদক উপজেলা বিএনপি)।
বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক শিকদার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ মুঠোফোনে এই প্রতিনিধিকে জানান,
“আমরা পাঁচজন একত্রে বসে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ইনশাল্লাহ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যাকেই ধানের শীষের প্রতিক দেয়া হোক তার পক্ষেই আমরা সকলে কাজ করব। ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ।সকল সভা সমাবেশ ঐক্যবদ্ধভাবে করবো।শীঘ্রই আমরা বাঞ্ছারামপুরে বিশাল মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা করছি।”
আরও জানা গেছে,
বৈঠকে তারা সকল বিভেদ ভুলে মাঠে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠক শেষে নেতারা জানান,দলের সিদ্ধান্তই হবে সর্বোচ্চ এবং ব্যক্তি স্বার্থের চেয়ে দল ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে তারা বেশি গুরুত্ব দেবেন।
ঢাকা মহানগর (উত্তর)যুবদল নেতা লিটন সরকার বলেন,বাঞ্ছারামপুরে ধানের শীষের গণভিত্তি আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যের বিকল্প নেই। একই সঙ্গে তারা তৃণমূল নেতাকর্মীদের আন্দোলন–সংগঠনে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এদিকে, একাধিক গ্রুপগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৈঠকের খবরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে।
এফপি/জেএস