কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে একটি খাবার হোটেলের বাথরুম থেকে শহিদুল্লাহ (৫০) নামে এক বাসচালকের লাশ উদ্ধার করেছে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ।
সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঐ চালকে লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে তিনি হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।
বাসচলালক শহিদুল্লা গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বেগুনহাটি গ্রামের করম আলীর ছেলে। তিনি ঢাকা টু কটিয়াদী রোডে জলসিঁড়ি বাসের চালক ছিলেন। এক স্ত্রী দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে।
পুলিশ ও পাবিারিক সূত্রে জানা যায়, চালক শহিদুল্লাহ দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলিন। তিনি সোমবার রাতে ঢাকা থেকে জলসিঁড়ি বাস চালিয়ে কটিয়াদী বাসষ্ট্যান্ডে আসেন। প্রতিদিনের মতো খাওয়া দাওয়া শেষ করে বাসের মধ্যেই ঘুমিয়ে ছিলেন, রাত আনুমানিক ৩-৪ টার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব হলের হেলপারকে সাথে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গিয়ে ঔষধ নিয়ে আসেন। ভোররাতে তিনি বাথরুম করার জন্য ধানসিঁড়ি রেস্তোরায় যান দীর্ঘসময় বাথরুম থেকে রুম থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে এবং দরজা বন্ধ দেখে রেস্তোরার কর্মচারীরা বাথরুমে উপরে উঁকি দিয়ে দেখে ভিতরে তিনি পরে আছে। পরে হোটেলের লোকজন পুলিশকে খবর দিলে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত শহিদুল্লার লাশ উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।
কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তরিকুল ইসলাম জানান, মৃত বাসচালক শহিদুল্লাহ ঢাকা টু কটিয়াদী রোডে জলসিঁড়ি বাস চালাতেন। তিনি হার্টের রোগী ছিলেন এবং নিয়মিত ঔষধ খেতেন। মধ্যরাতে বুকে ব্যাথা হলে ডাক্তার দেখিয়ে ঔষধ খেয়েছে, সকালে একটি হোটেলে বাথরুম করতে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নাই। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
এফপি/এমআই