শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানা এলাকায় গলায় গামছা পেঁচিয়ে সংঘটিত আলোচিত নাজমা বেগম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বরিশাল র্যাব-৮, সিপিসি -৩, এবং র্যাব-১০, ঢাকা-এর যৌথ অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
গ্রেপ্তারকৃত অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ওরফে রিপন মোল্যা (৪৫), পিতা-মৃত সোনাই মোল্যা, মাতা-মৃত রাবেয়া বেগম,সাং-দক্ষিণ ডামুড্যা, থানা-ডামুড্যা, জেলা-শরীয়তপুর।
তার কাছ থেকে নগদ ৭৫০০/- টাকা এবং একজোড়া হাতের বালা উদ্ধার করা হয়েছে। মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্প কর্তৃক ২৫ অক্টোবর, প্রেরিত প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, নিহত নাজমা বেগম (৩৯) তার ছেলে নিরব হোসেন (১৪) সহ পালং মডেল থানাধীন রূপনগরে , আঃ মালেক মাদবর এর বাসায় ভাড়া থাকতেন। গত ২২ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নাজমা বেগমের ভাই মোঃ দিন ইসলাম পালং মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে নিরব হোসেন স্কুল থেকে দুপুর অনুমান ২:৩০ ঘটিকার সময় বাসায় ফিরে তার মাকে খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখে। ডাকাডাকি করে সাড়াশব্দ না পেয়ে নিরব বাসার মালিকের স্ত্রীকে ডেকে আনেন। তারা এসে নাজমা বেগমকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। বাদী ঘটনাস্থলে এসে ভিকটিমের গলায় গামছা প্যাঁচানো, জিহ্বা বের হওয়া এবং দাঁত দিয়ে কামড়ানো অবস্থায় দেখতে পান। তাদের ধারণা, ২১ অক্টোবর , সকাল ৭:৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটেছে,দুপুর অনুমান ১:৩০ ঘটিকা সময়ের মধ্যে অজ্ঞাতনামা আসামী/আসামীরা পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে।
নৃশংস এই হত্যাকান্ডের সংবাদ ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়া সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে মাদারীপুর, সিপিসি ৩,র্যাব-৮, বরিশাল, হত্যা মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটন ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে।
গ্রেপ্তার ও লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার:
র্যাব-৮ ও র্যাব-১০, ঢাকা'র একটি যৌথ আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত ২৪ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ রাত ৯:৩০ ঘটিকায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন হাসনাবাদ এলাকা হতে আলোচিত এই হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম ওরফে রিপন মোল্যাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও ছায়া তদন্তে জানা যায় যে, স্বর্নের গহনা ও নগদ টাকা পয়সা লুট করার উদ্দেশ্যেই তিনজন মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে উদ্ধারকৃত আলামত সহ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে শরীয়তপুর জেলার পালং মডেল থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং এ স্বাক্ষর করেন মীর মনির হোসেন, পুলিশ সুপার, কোম্পানী কমান্ডার, র্যাব-৮, সিপিসি-৩, মাদারীপুর। তিনি জানান, র্যাব-৮ এর এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
এফপি/অ