বগুড়ার সারিয়াকান্দি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুর মোর্শেদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাদেক আজিজ লাবলু এবং অফিস সহায়ক জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সারিয়াকান্দি পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবের হলরুমে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অফিস সহায়ক জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে কলেজের খন্ডকালীন পিয়ন পদের চাকুরির জন্য অধ্যক্ষকে বললে অধ্যক্ষ মঞ্জুর মোর্শেদ আমার নিকট থেকে টাকা দাবি করেন। পরে ১৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথায় মিটমাট হয় এবং নগদ ৩ লাখ টাকা আমি তাকে প্রদান করি। টাকা লেনদেনের কথোপকথনের পুরো ঘটনাটি আমি আমার মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে রাখি। পরে অধ্যক্ষকে বাকি ১০ লাখ টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমার ছেলের চাকুরী দিতে তালবাহানা করেন। এরপর আমার মোবাইলের রেকর্ডটি আমার কলিগদের ভেতরে জানাজানি হয়। এরপর অধ্যক্ষ গত ২ ফেব্রুয়ারি কলেজরুমে আমাকে আটক করে অন্য কলিকদের সাথে নিয়ে এবং কতিপয় দুষ্কৃতকারীদের সাহায্যে আমাকে প্রায় এক ঘন্টার মতো শারীরিক নির্যাতন ও গালিগালাজ করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। এমতাবস্থায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি আমি আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সারিয়াকান্দি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। বিষয়টি নিয়ে আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে সাদেক মোহাম্মদ আজিজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২০২৩ সালের ১ মার্চ নবীন বরণ অনুষ্ঠানে বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মঞ্জুর মোর্শেদ তার বক্তব্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমানকে খুনি আখ্যা দিয়েছিলেন এবং তার মরণোত্তর বিচার দাবি করেছিলেন। এছাড়া সেই বক্তব্যে তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সন
খালেদা জিয়াকে একজন পতিতা বলে মন্তব্য করেছিলেন। তাই আওয়ামী লীগের দোসর এই অধ্যক্ষের আমরা পদত্যাগ দাবি করছি।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমাকে শারীরিক নির্যাতনের বিষয়টিও আমি মোবাইল ফোনে রেকর্ড করেছি। আমি এবং আমার পরিবার এখন জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছি। আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য আমি গণমাধ্যম কর্মীদের এবং প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।
সংবাদ সম্মেলনে সাদেক আজিজ লাবলু বলেন, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পলাতক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এপিএস সাইফুজ্জামান শিখরের বন্ধু ছিলেন এবং তিনি ছোটবেলা থেকেই ছাত্রলীগ করতেন। তিনি বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করে ভোট ডাকাতি করেছেন। আমরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করছি।
এফপি/এমআই