জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরাতে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করেছে পুলিশ। মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে অবস্থান করছিলেন তারা।
রোববার (১১ অক্টোবর) দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে পুলিশের পক্ষ থেকে এ সাউন্ড গ্রেনেড (শব্দ বোমা) নিক্ষেপ করা হয়। এর আগে থেকেই শিক্ষক আন্দোলনকারীদের সরাতে প্রেসক্লাবের দিকে অগ্রসর হয় পুলিশ। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষকরা পুলিশদের উদ্দেশে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান দিতে থাকেন।
শব্দ বোমা নিক্ষেপের পর শিক্ষকরা সাময়িকভাবে সরে গেলেও অল্প সময়ের মধ্যে ফের প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হন। মাইকে শিক্ষক নেতারা কাউকে বিশৃঙ্খলা না করতে এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে আহ্বান জানান।
দুপুরে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল অর্থ উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে আলোচনা করতে সচিবালয়ে যান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাঈন উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন আজিজী, যুগ্ম সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, আবু তালেব সোহাগ, আশরাফুজ্জামান হানিফ, আলাউদ্দিন, তোফায়েল সরকার, শান্ত ইসলাম, প্রকৌশলী আবুল বাশার, আহ্বায়ক নুরুল আমিন হেলালী, হাবিবুল্লাহ রাজু, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও আজিজুর রহমান আজম।
আজ সকাল ১০টা থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষকরা। এর আগে গত ১৩ আগস্ট একই দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি। তখন তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধি এবং সর্বজনীন বদলি চালুর দাবি জানায়।
পরবর্তীতে ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৪ সেপ্টেম্বর অর্ধদিবস, ১৫ ও ১৬ সেপ্টেম্বর পূর্ণদিবস কর্মবিরতি এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে শিক্ষক সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এফপি/এমআই