রাঙামাটি, ০১ অক্টোবর ২০২৫ (বুধবার): গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতের আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় রাঙামাটির লংগদু অঞ্চলের বিএফডিসি ঘাট, ভাইবোনছড়া, লংগদু লঞ্চঘাট, গুইলশাখালি বিল ও ভাসান্যাদম এলাকায় একাধিক নৌকা ডুবে যায়।
খবর পেয়ে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যৌথ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। সেনাবাহিনীর অক্লান্ত প্রচেষ্টা ও দ্রুত পদক্ষেপে ওই রাতেই ভাইবোনছড়া থেকে ০১ জনকে জীবিত উদ্ধার, এফআইডি টিলা বিল থেকে ০১ শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় ভাসান্যাদম এলাকা থেকে আরও ০১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
পরদিন সকালে সেনাবাহিনীর আরেকটি দল অভিযান চালিয়ে আরও ০২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মোট ০৫ জন নিখোঁজ ছিলেন, যাদের মধ্যে সেনাবাহিনীর প্রচেষ্টায় ০২ জনকে জীবিত এবং ০৩ জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার সম্ভব হয়েছে।
অন্যদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে নানিয়ারচর উপজেলার মহাজনপাড়ায় আরও একটি নৌকা ডুবে যায়। ছয়জন যাত্রীর মধ্যে ০৪ জন সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও ডেনিজেন চাকমা ও জিতেশ চাকমা নিখোঁজ রয়েছেন।
পরদিন সকালে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয়রা নৌকাটি উদ্ধার করলেও ০২ জন যুবকের সন্ধান মেলেনি। বর্তমানে সেনাবাহিনীর ডুবুরি দল নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা সর্বশক্তি দিয়ে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।
সেনাবাহিনীর তাৎক্ষণিক সাড়া, সাহসিকতা ও নিরলস প্রচেষ্টার ফলে দুর্ঘটনার পরপরই কার্যকর উদ্ধার অভিযান সম্ভব হয়েছে। তাদের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করতে পেরেছে, যার ফলে বহু মানুষের জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনী শুধু নিরাপত্তাই নয়, মানবিক দায়িত্ব পালনেও সর্বদা অগ্রণী কাপ্তাই হ্রদের এ দুর্ঘটনায় তা আবারও প্রমাণিত হলো।