রাঙামাটিতে পৃথক নৌকা ডুবির ঘটনায় তিনজন নিহত ও দুইজন নিখোঁজ রয়েছে। তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হলেও নিখোঁজ রয়েছে দুইজন। জেলার লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলায় এই নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে।
রাঙামাটির লংগদুতে কাপ্তাই লেকে আকস্মিক ঢেউয়ের কবলে পড়ে নৌকা ডুবির ঘটনায় চারজন নিখোঁজের মধ্যে সিরিনা বেগমকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। সালমা বেগম, শিশু রানা ও মাসুমকে মৃত উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার শিকার সকলে লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের গাঁথাছড়া এফআইডিসি এলাকার বাসিন্দা। জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ বাতাস আর ঝড়ের কবলে পড়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকাবোট বাড়ির কাছাকাছি এসে তলিয়ে যায়।
ঘটনার আগে আছির উদ্দীন তার স্ত্রী সন্তান ও তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেড়াতে যান গুলশাখালীতে, সেখান থেকে ফেরার পথে এঘটনা ঘটে।
লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাঙামাটি থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে নামে, তারা নিখোঁজ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে। উদ্ধার কাজে সহযোগিতা করেন লংগদু জোনের সদস্যরা।
এদিকে জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় নৌকাডুবির ঘটনায় দুই কলেজ পড়ুয়া ছাত্র নিখোঁজ হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টার দিকে প্রবল বাতাসে কাপ্তাই লেকের শাখা চেঙ্গী নদীতে উপজেলার সাবেক্ষং ইউনিয়নের মহাজনপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় শনখোলাপাড়া থেকে ৬ জন পাহাড়ি কলেজ ছাত্র শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে নানিয়ারচর বাজারের জগন্নাথ মন্দিরে আসে। পূজা শেষে রাতে তারা নৌকাযোগে শনখোলাপাড়া ফেরার পথে মহাজনপাড়া এলাকায় তীব্র বাতাসের কবলে পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। এসময় ৪ জন ছাত্র সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও দুজন নিখোঁজ রয়েছে।
নিখোঁজরা হলেন, ডেলিজেন চাকমা (১৮) ও জিগেশ দেওয়ান (১৮)।
নানিয়ারচর থানার ওসি নাজির আলম জানায়, ঘটনা শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে যাই। এবং পুলিশি কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
সাবেক্ষং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুপম চাকমা ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরিবার ও স্থানীয় লোকজন নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।
রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমীন জানান, লংগদুতে নৌকাডুবিতে নিখোঁজদের উদ্ধার কাজ শেষে ডুবুরি দল নানিয়ারচরে নিখোঁজদের উদ্ধারে রওনা হয়েছে।
এফপি/এমআই