জয়পুরহাট-বগুড়া সড়ক সম্প্রসারণ (ফোরলেন) প্রকল্পের আওতায় বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড) অফিসের সামনের অংশের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এর বিপরীতে সরকার থেকে জমির যথাযথ মূল্যও পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বিটিসিএল অফিসের সামনে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়নি। ফলে নিরাপত্তাহীনতা ও নানা সমস্যায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিটিসিএল অফিসের সামনের অংশ এখন পুরোপুরি উন্মুক্ত। এই খোলামেলা অবস্থার কারণে প্রায়শই অফিস চত্বরে বাইরের লোকজন অনধিকার প্রবেশ করছে। অনেক সময় সেখানে অযাচিত আড্ডা, আবর্জনা ফেলা এমনকি মাদকসেবীদের আনাগোনাও লক্ষ্য করা গেছে।
বিটিসিএল অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, “ফোরলেন প্রকল্পের জন্য অফিসের সামনের একটি বড় অংশ জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে। সরকার (সড়ক জনপদ বিভাগ) থেকে জমির মূল্য পেলেও সেই অংশে নতুন করে কোনো সীমানা প্রাচীর ও প্রধান গেইট নির্মাণ করা হয়নি। আমরা একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও এ বিষয়ে এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।” তিনি আরও বলেন, অফিসের নিরাপত্তা ও কর্মীদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ একান্ত প্রয়োজন।
স্থানীয় জনগন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা জানান, এমন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিস যদি এভাবে উন্মুক্ত থাকে, তবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া স্বাভাবিক। যে কোন সময় বড়ধরনের কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়াও বিটিসিএল অফিসের মূল্যবান সরঞ্জাম চুরি হওয়ারও সম্ভবনা রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সচেতন মহল। তাদের দাবি, দ্রুত বিটিসিএল অফিসের সামনে একটি সীমানা প্রাচীর ও প্রধান গেইট নির্মাণ করে নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।
জয়পুরহাট বিটিসিএল টেলিকম বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক জাকিরুল ইসলাম নিকট এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, বিটিসিএল অফিস একটি সরকারী কেপিআই প্রতিষ্ঠান। এটির সীমানা প্রাচীর না থাকায় আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছি। যেহেতু এ বিষটি ট্রান্সমিশন বিভাগ দেখেন। ইতিপূর্বে সীমানা প্রাচীরের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবগত করা হলেও এখন পর্যন্ত সীমানা প্রাচীর নির্মাণ হয়নি।
এ ব্যাপারে বগুড়া বিটিসিএল ট্রান্সমিশন বিভাগের ডিজিএম দেবল কুমার এর নিকট মুঠোফেনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জয়পুরহাট বিটিসিএল অফিসের সীমানা প্রচীরের এস্টিমেট ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি এখন পর্যন্ত পাশ না হওয়ায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি।
এফপি/অআ