এমনও স্কুল আছে যেখানে পাঠ্য বইয়ের পড়া পড়ানো হয়না। সেখানে ৩ থেকে ৭ বছর বয়সি শিশুদের খেলাধুলা ও বিনোদনের মাধ্যমে জীবন গড়তে সহায়তা করে। যেমন যে সময় এই শিশুদের মায়ের কোলে বা খেলা ধুলায় মগ্ন থাকার কথা। বাস্তবে ছোট ছোট এই শিশুরা পতিত্যাক্ত প্লাস্টিকের বর্জ্য সংগ্রহ করে স্কুল মাঠেই বিক্রি করে সেখান থেকেই কিনছেন গাছের চারা। শিশুদের এমন উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে সর্বত্র।
এটি জয়পুরহাট পৌর শহরের মাদরাসা মোড়ে অবস্থিত শিশু বিকাশ প্রি-স্কুল এটি ২০২২সাল থেকে এই স্কুলে ৩ বছর বয়স থেকে ৭ বছর বয়সি শিশুদের পাঠদান করা হয় আনন্দমুখর পরিবেশে জীবনমূখী শিক্ষাদান। নাই বইয়ের বাড়তি বোঝা, পরীক্ষায় প্রথম-দ্বিতীয় হওয়ার ইদুর দৌড় প্রতিযোগিতা। খেলাধুলা, আনন্দের মাধ্যমে শেখানো হয়।
সামাজিক সচেতনতামূলক শিশু উপযোগী বিভিন্ন উৎসবও পালন করা হয়। যেমন, প্রতিটি শিশুর নিজ বাড়িতে প্লাস্টিকের বর্জ্য সেগুলো সংগ্রহ করে স্কুলে এনে মাঠের পাশেই পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে। আর সেই টাকা দিয়ে স্কুল মাঠে অবস্থিত নার্সারী থেকে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা সংগ্রহ করে। এতে কোমলমতি শিশুরা শিখছে আগামীর ভাবনা আর শিশুদের ভুমিকা দেখে খুশি অভিভাবকরা।
পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের জিনিসপত্র ক্রেতা বলছেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসায় শিশুদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কেনার এমন অনুভব আগে কখনও পাননি।
স্কুলের শিক্ষকরা জানান, শিশু ছোটবেলাতে যে শিক্ষা গ্রহন করে, সেটিই তাদের মাথায় ধরে রাখে। এজন্য আমরা শিশুদেরকে বাস্তবমুখি জীবন গড়তে সাহায্য করছি।
শিশু বিকাশ প্রি-স্কুল পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান পল্টন ও পরিচালক তাসনিম সিদ্দিক বলেন , পিতা মাতার কর্মজীবনের ফলে অনেক শিশু জন্মের কিছু পরেই বাবা মার কাছ থেকে কিছু সময় আলাদা থাকে। এসব ৩ বছর থেকে ৭ বছর বয়সী শিশুদের স্কুলে পড়াশোনার জন্য ভর্তির আগ পর্যন্ত বাস্তবমুখী নানা ভাবে বিনোদের মাধ্যমে শিশুদের গড়ে তুলছি।
এফপি/ অআ