চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড়ের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোতের চাপে একের পর এক ভেঙে পড়ছে ব্রিজ। মনোহরপুর, সন্তোষপুর, রাঙ্গিয়ারপোতা ব্রিজের পর এবার ধসে পড়েছে সিংনগর ব্রিজ।
এছাড়াও ব্রিজের চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে পথচারীরা পায়ে হেঁটে ও দুই চাকার ছোট যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাকি অংশগুলোও ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এই ব্রিজের উপর দিয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত যাতায়াত করেন।
ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির জন্য সিংনগর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের দায়ী করে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার সময় মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাদ আলী বলেন, ব্রিজটি এই এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের ওপর দিয়ে সিংনগর গ্রাম ছাড়াও আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষ এখন দুর্ভোগে পড়েছেন। কৃষকেরা তাদের কৃষিপণ্য এই ব্রিজের ওপর দিয়ে দর্শনা ও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে যেতেন। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত মেরামত না করায় পানির স্রোতের চাপে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বাওড় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দিতে।
মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষে মামুন হোসেন বলেন, আমাদের আগে থেকে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ বাঁধ খুলে দিয়েছে। এতে করে ব্রিজ ভেঙে যাওয়া ছাড়াও রাস্তা ধসে পড়েছে এবং অনেক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
মিরাজ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ নিজেদের লাভের জন্য বাঁধ দেয় ও বাঁধ খুলে দেয়। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবে, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভাবে না। মানববন্ধনে সিংনগর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজ ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে সিংনগর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড়ের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোতে সোমবার ভেঙেছে ভৈরব নদীর উপর মনোহরপুর গ্রামের একটি ব্রিজ। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় সিংনগর ব্রিজটির অধিকাংশ অংশ ধসে পড়ে। এছাড়া ব্রিজটির একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এর আগে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমীন হোসেন মনোহরপুর ও সন্তোষপুর ব্রিজ দু’টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্রিজগুলো দ্রুত পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
অতিবর্ষণে বাওড়ের বাঁধ ভাঙনে ধসে পড়ছে ব্রিজ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড়ের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোতের চাপে একের পর এক ভেঙে পড়ছে ব্রিজ। মনোহরপুর, সন্তোষপুর, রাঙ্গিয়ারপোতা ব্রিজের পর এবার ধসে পড়েছে সিংনগর ব্রিজ।
এছাড়াও ব্রিজের চারপাশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে পথচারীরা পায়ে হেঁটে ও দুই চাকার ছোট যানবাহন নিয়ে চলাচল করছেন। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বাকি অংশগুলোও ধসে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় এই ব্রিজের উপর দিয়ে বিজিবি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়মিত যাতায়াত করেন।
ব্রিজের ক্ষয়ক্ষতির জন্য সিংনগর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের দায়ী করে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার সময় মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আহাদ আলী বলেন, ব্রিজটি এই এলাকার মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের ওপর দিয়ে সিংনগর গ্রাম ছাড়াও আশপাশের ৮-১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষ এখন দুর্ভোগে পড়েছেন। কৃষকেরা তাদের কৃষিপণ্য এই ব্রিজের ওপর দিয়ে দর্শনা ও অন্যান্য জায়গায় নিয়ে যেতেন। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল আনা-নেওয়া করতে পারছেন না।
তিনি আরও বলেন, জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ ভেঙে যাওয়া বাঁধ দ্রুত মেরামত না করায় পানির স্রোতের চাপে ব্রিজগুলো ভেঙে পড়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, বাওড় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ও আমাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে দিতে।
মানববন্ধনে গ্রামবাসীর পক্ষে মামুন হোসেন বলেন, আমাদের আগে থেকে কোনো সতর্কবার্তা ছাড়াই সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ বাঁধ খুলে দিয়েছে। এতে করে ব্রিজ ভেঙে যাওয়া ছাড়াও রাস্তা ধসে পড়েছে এবং অনেক বসতবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
মিরাজ হোসেন নামের আরেকজন বলেন, সিংনগর বাওড় কর্তৃপক্ষ নিজেদের লাভের জন্য বাঁধ দেয় ও বাঁধ খুলে দেয়। তারা শুধু নিজেদের স্বার্থের কথা ভাবে, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা ভাবে না। মানববন্ধনে সিংনগর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। ব্রিজ ও রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে গ্রামবাসী প্রশাসনের কাছে সিংনগর মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে জীবননগর উপজেলার সিংনগর বাওড়ের বাঁধ ভেঙে পানির প্রবল স্রোতে সোমবার ভেঙেছে ভৈরব নদীর উপর মনোহরপুর গ্রামের একটি ব্রিজ। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সন্তোষপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে ব্রিজটি ভেঙে পড়ে। এরপর বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময় সিংনগর ব্রিজটির অধিকাংশ অংশ ধসে পড়ে। এছাড়া ব্রিজটির একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
এর আগে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল-আমীন হোসেন মনোহরপুর ও সন্তোষপুর ব্রিজ দু’টি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি ব্রিজগুলো দ্রুত পুনর্নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এফপি/অআ