নিখোঁজের তিনদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার শালবন গ্রাম থেকে তাসনিয়া আক্তার নামের তৃতীয় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীর বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ওই গ্রামের রাজমিস্ত্রী এরশাদ আলীর একমাত্র মেয়ে এবং স্থানীয় বটতলী বাজারের সানরাইজ প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় শিশুটির প্রতিবেশি কুমকুম বেগম ও আঞ্জুয়ারা বেগম নামের দুই নারীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যা থেকে তাসনিয়াকে খুঁজে পাওয়া না গেলে বৃহস্পতিবার তার বাবা এরশাদ আলী ক্ষেতলাল থানায় জিডি করেন। পরে শুক্রবার বিকেল থেকে দুর্গন্ধের সূত্র ধরে গ্রামবাসী খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় প্রতিবেশী একরামুল হকের বাড়ির ভেতরের গোয়ালঘরে শিশুটির বস্তাবন্দী মরদেহ দেখতে পেয়ে খবর দিলে পুলিশ এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে। বাড়ির মালিক একরামুল হক পলাতক থাকায় পুলিশ তার স্ত্রী কুমকুম বেগম ও চাচি আঞ্জুয়ারাকে গ্রেপ্তার করেছে।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিবেশী বাড়ির মালিক একরামুল পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী ও চাচিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘাতককে গ্রেফতারের অভিযান চলছে।
এফপি/অআ