জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা, গাফিলতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রদল সমর্থিত ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) প্রার্থী মো. শেখ সাদী হাসান।
বৃহস্পতিবার ভোট চলাকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
সাদীর অভিযোগ, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপে প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ স্পষ্ট হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি, প্রশাসন একটি নির্দিষ্ট সংগঠনকে সুবিধা দিতে নানা সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে। এমনকি ভোট গণনার জন্য যে মেশিন আনা হয়েছে, সেগুলো ওই সংগঠনের প্রভাবাধীন কোম্পানি থেকে আনা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, এ কারণে তাঁর প্যানেল বারবার নির্বাচন কমিশনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছে যেন ভোট ম্যানুয়ালি গণনা করা হয়।
শেখ সাদী আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচন চলাকালে একটি ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ নেতা প্রকাশ্যে কমিশন ও প্রশাসনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছেন। এমনকি কাজী নজরুল ইসলাম হলে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরাই তাঁকে প্রত্যাখ্যান করে হলে থেকে বের করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রশাসনের সমালোচনা করলেও শেখ সাদী আত্মবিশ্বাসী যে জাহাঙ্গীরনগরের শিক্ষার্থীরা স্বাধীনচেতা এবং তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কাউকে ভোট দেবে না। তিনি বলেন, “এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাধীনমনা। তারা এমন কাউকেই নির্বাচিত করবে না যারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে যুক্ত ছিল।”
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৩ বছর পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে ২৫টি কেন্দ্রে মোট ১৭৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ছাত্রদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের সমর্থিত প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
এফপি/রাজ