পাবনায় সিনেমার মতো অপহরণের নাটক সাজিয়ে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে এক মাদ্রাসা ছাত্রকে অপহরণ করে একই মাদ্রাসার অপর ছাত্র। পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে শেষ পর্যন্ত অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার হয় ভিকটিম।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা শহরের জামিয়া আশরাফিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের আবাসিক ছাত্র লামিম আহমেদ ফয়সাল (১১)-কে কৌশলে অপহরণ করে হাফেজ বিভাগে পড়ুয়া হোসাইন আলী (১৯)। তিন দিন আগে অসুস্থতার কথা বলে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফেরে হোসাইন এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবহার করে মাদ্রাসার আরেক ছাত্রের কাছ থেকে আগে নেওয়া মোবাইল সিমকার্ড।
অপহরণের পর ফয়সালকে নিয়ে যাওয়া হয় আতাইকুলার এক ছাত্রবন্ধুর বাড়িতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ভিকটিমের বাবার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। বিষয়টি জানাজানি হলে ফয়সালের বাবা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেন।
তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব-১২ এর একটি চৌকস টিম বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পাবনা শহরের পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকার একটি তেলপাম্প সংলগ্ন স্থান থেকে ফয়সালকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী হোসাইন আলীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত হোসাইন আলী পাবনা সদর উপজেলার ধর্মগ্রাম গ্রামের আতিকুর রহমানের ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করেছে টাকার লোভেই এ অপহরণের পরিকল্পনা করেছে।
এদিকে অভিযুক্তের পরিবার ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ঘটনার দায় এড়াতে এবং ধামাচাপা দিতে ব্যস্ত থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা—এর পেছনে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
এফপি/রাজ