শিকড়ের টানে, স্মৃতির আয়োজনে, এসো মিলি প্রিয়াঙ্গনে এই স্লোগানে উদযাপন হচ্ছে নোয়াখালী হাতিয়ার জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়ের সূবর্ণ জয়ন্তী।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই উদযাপনের উদ্বোধন করেন আয়োজক কমিটির আহবায়ক তাজ উদ্দিন রাফুল।
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তী উপলক্ষে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের সহযোগিতায় বড় আকারে এই উদযাপন করা হচ্ছে। আজ র্যালি ও আলোচনা সভার মাধ্যামে আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিঠির আহবায়ক তাজ উদ্দিন রাফুল, সদস্য সচিব মোশারেফ হোসেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সোলাইমান সহ সাবেক ও বর্তমান প্রায় ৭ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী।
এতে সবার উপস্থিতিতে একটি র্যালি বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে জাহাজমারা বাজার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার মাঠে এসে শেষ হয়। র্যালিতে ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে ছিল বিভিন্ন রঙ্গের প্লেকার্ড। মাইকে বাজানো হয় সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের থিম সং।
র্যালি শেষে বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষক আবু সোলাইমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত হয় আলোচনা সভা। এতে সূবর্ণ জয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান নিয়ে সিদ্বান্ত হয়। ঢাকা চট্টগ্রাম ও হাতিয়ায় এজন্য ভিন্ন ভিন্ন কমিটি করে দেওয়া হয়। এসব কমিটি রেজিস্ট্রেশন, ম্যাগাজিন তৈরি করা, অর্থ সংগ্রহ ও মূল অনুষ্ঠানে দেশ বরণ্য শিল্পিদের অংশগ্রহণে মনোঙ্গ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের আয়োজনে কাজ করবেন। তবে হাতিয়ার বাহিরে থাকা সাবেক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। আগামী রমজানের ঈদের তৃতীয় অথবা চতুর্থদিন মূল অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে।
দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার দক্ষিনাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিদ্যাপিঠ জাহাজমারা উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭১ সাল থেকে শুরু হয়ে এখণ পর্যন্ত সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একহাজার ৩৫ জন।
এফপি/রাজ