শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ২১ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে (পুশইন) ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাদের মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী এবং ১১ জন অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু রয়েছে।
এরা হলেন-সাব্বির (৪০), শামসুল আলম (৪৩), রোমানা বেগম (২৪), তোহা (৯), নুরতাজোল (৪), রিয়াজ (৪), আরমান (১), রবি খানম (২৪), হাসিনা বেগম (২২), শাহিনা আক্তার (৩), শুকতারা (৪মাস), সেতারা বেগম (৩৫), বোরহান (৮), হাতেমা বেগম (৪০), নুরুল আবসার (১৭), জিন্নাতারা (১৫), নুরুল ইসলাম (১৩), সিরাজ (১১)
আজিজুল ওসমান (৯), আয়েশা বিবি (০৬) ও একজন বোবা নাম বলতে পারে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে উপজেলার হাতিপাগাড় বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন নাকুগাঁও সীমান্ত এলাকার ১১১৬ মেইন পিলার দিয়ে এসব রোহিঙ্গাকে পুশইন করেন কিলাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে বিজিবির টহল দল তাদের আটক করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, আটক ব্যক্তিরা ছয়টি পরিবারের সদস্য। তারা ২০১৭ সালে কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতের জম্মু-কাশ্মীরে যায় এবং সেখানে শ্রমিক হিসেবে হোটেলে ও বাসাবাড়িতে কাজ করতে শুরু করে। এক মাস আগে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে অবৈধভাবে ভারতে বসবাসের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার হয়। পরে তারা কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক হিসেবে ছিল বলে পরিচয় দেয়। সেই হিসাবে তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
পুশইনের বিষয়টি নিশ্চিত করে ৩৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদি হাসান বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে আরও তথ্য যাচাই-বাছাই এবং পরবর্তী কার্যক্রমের প্রক্রিয়া চলছে।
এফপি/রাজ