শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে এবার একটি পোষা বিড়ালকে সিজারিয়ান অপারেশন করে ৪টি ছানা জন্মগ্রহণ করেছে। মানুষের মতো সিজার করে বিড়ালের বাচ্চা হওয়ার ব্যতিক্রমী এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কাকরকান্দী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাউসারের বাড়িতে।
সোমবার (১৪ জুলাই) তার নিজ বাড়িতে পালিত ওই বিড়ালটিকে সিজার করে ৪টি বাচ্চা জন্ম দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছর আগে নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাউসার লালন পালন করার জন্য শখের বসে ঢাকার মিরপুর থেকে দুটি পার্সিয়ান জাতের বিড়াল ১৫ হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিজ বাড়িতে আনেন। কিছুদিন পর এর মধ্য থেকে একটি বিড়াল মারা যায়। একপর্যায়ে বেঁচে থাকা বিড়ালটির প্রজননের সময় হলে মাদি (স্ত্রী) বিড়ালটির কাছে তিন দিনের জন্য ভাড়া করে একটি পুরুষ বিড়াল এনে ওই স্ত্রী বিড়ালটির সাথে রেখে দেন। পরে প্রজননের মাধ্যমে পালিত স্ত্রী বিড়ালটি গর্ভবতী হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার (১৪ জুলাই) রাত ১২টার দিকে গর্ভবতী বিড়ালটি চেয়ারম্যানের কাছে এসে মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে রাখে আর চিৎকার করতে থাকে। তখন চেয়ারম্যান বুঝতে পারেন বিড়ালটির বাচ্চা প্রসব হওয়ার সময় হয়েছে। তিনি নিজে নরমাল ডেলিভারি করানোর জন্য চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট (সিইএ) মোস্তফা কামালকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন। মোস্তফা কামাল ডেলিভারি করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে তিনিও ব্যর্থ হন।
পরে তিনি জরুরীভিত্তিতে শেরপুর জেলা শহরে ভেটেরিনারী সার্জনের কাছে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ওই দিন রাত ১টার দিকে চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাউসার শেরপুর ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার মো. সুমন মিয়ার কাছে নিয়ে গেলে তিনি প্রায় ৩ ঘন্টা যাবত পরিশ্রম করে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে চারটি বাচ্চা প্রসব করান। এরমধ্যে তিনটি বাচ্চা বাদামী রং এর ও একটি কালো রং এর। বর্তমানে বিড়ালের বাচ্চা ও তার মা সুস্থ আছে।
এ বিষয়ে কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট (সিইএ) মোস্তফা কামাল বলেন, আমি বিড়ালের মালিক চেয়ারম্যান নিয়ামুল কাউসারের বাড়িতে প্রতিদিন গিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি ও চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। বর্তমানে প্রসুতি মা বিড়াল ও তার চারটি ছানা সুস্থ আছে। ব্যতিক্রমী এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
এফপি/রাজ