পাবনা শহরের লাইব্রেরি বাজার এলাকার আটুয়া কলাবাগান কলোনির একটি দীঘি থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দীঘির পাড়ে ময়লা ফেলতে এসে এক গৃহিণী ভাসমান অবস্থায় লাশটি দেখতে পান। তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াজিউদ্দিন খানের বাড়ির গলির মাথায় এবং সাবেক মহিলা কমিশনার ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রেখা খাতুনের বাড়ির পাশের দীঘি। এলাকাটি সাধারণত নিরিবিলি এবং জনচলাচল কম, যা সন্দেহজনক ঘটনা ঘটানোর উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, নিহত যুবকের পরনে ছিলো নেভি ব্লু রঙের ট্রাউজার এবং কালো বর্ডার ও হালকা মাটি রঙের চেক ফুলহাতা শার্ট। তার চুল ও দাড়ি পরিপাটি করে ছাঁটা ছিলো এবং চুলে কলপ দেয়া বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি পানিতে ফুলে যাওয়ায় চেহারায় বিকৃতি এসেছে, তবে গায়ের রঙ ছিলো ফর্সা। পুলিশ ধারণা করছে, অন্তত কয়েকদিন আগেই তাকে হত্যা করে দীঘিতে ফেলে দেয়া হয়েছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুস সালাম জানান, “সকাল ৯টার দিকে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। লাশের অবস্থা অনেকটাই পচনধরা হওয়ায় তাৎক্ষণিক পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি এবং আঙুলের ছাপও নেওয়া যায়নি।”
তিনি আরও জানান, লাশের সুরতহাল শেষে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) এর মাধ্যমে ঢাকায় ল্যাব টেস্টের ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত নিহত যুবকের পরিচয় কিংবা হত্যার কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক রিপোর্ট পাওয়ার পর ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটনে সহায়ক হবে।
পাবনা সদর থানার পাশাপাশি পিবিআই, এনএসআই ও সিআইডির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এফপি/রাজ