জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “দেশের স্বার্থে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। উন্নয়ন ও জনগণের অধিকার আদায়ে কোনো আপোষ করা হবে না।”
সোমবার (৭ জুলাই) রাত ১১টায় পাবনা শহরের শহীদ চত্বরে অনুষ্ঠিত এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এদিন নাটোর, সিরাজগঞ্জ হয়ে পাবনা জেলায় এনসিপির যৌথ পদযাত্রা উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। বিগত টানা ৭ দিনে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলায় পদযাত্রা ও পথসভা অনুষ্ঠিত হলো।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণকে সাথে নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছিলাম। তখনও আপোষ করিনি, ভবিষ্যতেও করব না।" তিনি শহীদদের স্মরণ করে বলেন, "আমার ভাই-বোনেরা শহীদ হয়েছেন। তাদের যথাযথ শহীদি মর্যাদা ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হলে 'জুলাই সনদ' প্রণয়ন জরুরি। এই দাবিতে আমরা অনড়।”
তিনি আরও বলেন, “পাবনাবাসী ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সেই রক্তাক্ত সময়ের সাক্ষী এই শহর ও এর মানুষ। আমি আশ্বস্ত করতে চাই, দেশের পরিবর্তনে আপনাদের অবদানের মূল্য ফেরত দেওয়া হবে উন্নয়নের মাধ্যমে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী এবং নাটোর জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুর মান্নাফ।
পথসভা শেষে নেতাকর্মীরা কুষ্টিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে রাত্রিযাপন শেষে পরদিন কুষ্টিয়াসহ অন্যান্য জেলায় সভা করার কথা রয়েছে বলে এনসিপির মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে। দেশব্যাপী এ পদযাত্রা ও পথসভা চলবে ৩০ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ঢাকায় মহাসমাবেশে সকলকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার বক্তব্যে মিডিয়া কর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন- বিগত দিনে যারা কোন নির্দিষ্ট দলের লেজুড়বৃত্তি করে সংবাদ প্রচার করেছেন তারা সাবধান হয়ে যান। নতুন করে কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ প্রচারের অপচেষ্টা করলে তা প্রতিহত করা হবে।
উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস বলেন- আমরা নতুন ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছি তাই সকলকে সতর্কতার সাথে রাজপথে থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে প্রস্তুত থাকতে হবে।
শহরের তিনরাস্তার মোড়ে বৃষ্টিভেজা দিনে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এ আয়োজন চলে। বিকেল থেকে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে, সন্ধ্যার পর থেকে স্থানীয় জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দের বক্তব্য চলে। কেন্দ্রীয় নেতারা রাত্রি ১০টার দিকে পাবনা পৌঁছায়। এ আয়োজনে বিভিন্ন উপজেলা থেকে গাড়িতে করে লোকজন আসতে দেখা যায়।
এফপি/রাজ