ঈদুল আজহায় দেশীয় গরুর সরবরাহই চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট ছিল বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘এবার রাজনৈতিক কুরবানি হয়নি। ফলে বড় গরুর বিক্রি তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম ছিল।’
রোববার (১৫ জুন) ঈদের ছুটি শেষে সচিবালয়ে প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘যত পশু কুরবানি দেয়া হয়েছে, তার চেয়েও বেশি গরু দেশেই প্রস্তুত ছিল। বিদেশ থেকে কোনও পশু আমদানি করতে হয়নি, যা দেশীয় খামারিদের জন্য ছিল স্বস্তির।’
ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে উপদেষ্টাদের উপস্থিতিতে একাধিক বিষয় উঠে আসে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা সংলাপের মাধ্যমেই সমাধান হওয়া উচিত। প্রধান উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠক নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদ সন্তুষ্ট।’
নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এইচ মুর্শিদ জানান, ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সরকার শিগগিরই কিছু গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, যা বাস্তবায়িত হলে নির্যাতনের হার কিছুটা হলেও কমবে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘রমজান ঈদের মতো মসৃণ না হলেও এবারের কুরবানির ঈদযাত্রা মোটামুটি ভালোই ছিল। জনভোগান্তিও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছে।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঈদ-পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে ফরিদা আখতার বলেন, ‘এ বছর কুরবানিতে সার্বিকভাবে অন্যান্য বছরের তুলনায় স্বস্তিদায়ক অভিজ্ঞতা হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সারা বছর খামারিদের সহযোগিতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। চামড়া সংরক্ষণে কিছুটা সমস্যা হলেও সরকারি পদক্ষেপ ছিল সঠিক ও সময়োপযোগী।’
চামড়া নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এতিমখানা ও মাদ্রাসাগুলো চামড়া পেয়েছে। সরকার বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করেছে। যদিও চামড়া সংরক্ষণের অভিজ্ঞতা না থাকায় কিছুটা সমস্যা হয়েছিল, তারপরও দাম আগের বছরের তুলনায় কিছুটা ভালো ছিল।’
ফরিদা আখতার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে আরও আধুনিক ও কার্যকর করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এফপি/এমআই