লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে আজ (১৩ জুন) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে একান্ত বৈঠক (ওয়ান টু ওয়ান) শুরু হয়েছে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা নাগাদ বৈঠকটি শুরু হয়।
এর আগে যুক্তরাজ্যের কিংস্টনে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে দুপুর ১টার দিকে (বাংলাদেশ সময়) হোটেলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান। ডরচেস্টারে পৌঁছানোর পর তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের বরাতে জানা গেছে, এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন না অন্য কোনো প্রতিনিধি। তবে তারেকের সঙ্গে রওনা হওয়ার সময় পাশে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবির। তবে বৈঠকে তারা অংশ নেননি।
বিএনপি সূত্র বলছে, আজকের বৈঠকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় হচ্ছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সময় পুনর্নির্ধারণ। বিএনপির অবস্থান, নির্বাচন এপ্রিলের বদলে ডিসেম্বর ২০২৫ অথবা ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালে আয়োজন করতে হবে।
এছাড়াও আলোচনায় রয়েছে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণ, প্রশাসনিক সংস্কার, নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ এবং পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সহিংসতার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বৈঠক দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড়বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মাহবুবুর রহমান বলেন, “নির্বাচনের সময় ও পদ্ধতি নিয়ে যদি কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হবে।”
এই প্রথম কোনো বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান নেতা ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে একান্ত বৈঠকে বসেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। আলোচনার পরবর্তী ধাপে উভয় পক্ষ থেকে যৌথ বিবৃতি আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বৈঠকটি চলছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হলে নির্বাচন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন অগ্রগতি আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এফপি/রাজ