ঈদ-উল-আযহা উদযাপন শেষে কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের নিরাপদ ও নির্বিঘ্নভাবে যাতায়াত নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে গাইবান্ধার মহাসড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।
আজ শনিবার অর্ধবেলা ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের পলাশবাড়ীতে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ গাইবান্ধার যৌথ উদ্যোগে এই আদালত পরিচালনা করা হয়।
এই আদালত নেতৃত্ব দেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ট্রেজারি শাখা মোহাম্মদ মুনতাসির মারুফ । এসময় গাইবান্ধা বিআরটিএ'র মোটরযান পরিদর্শক কামাল আহম্মেদ কাজল ও অফিসের কর্মচারীরা এবং জেলা ট্রাফিক পুলিশের টিআই মহিউদ্দিনসহ জেলা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সড়কে চলাচলরত বিভিন্ন গাড়ির ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশন ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২৯ টি মামলায় ৭৪১০০ টাকা জরিমানা আদায় করে এই ভ্রাম্যমান আদাল।
গাইবান্ধা বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক কামাল আহম্মেদ কাজল বলেন, ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও অদক্ষ চালকের কারনে এবাবের ঈদেও সড়কে অনেক প্রাণ ঝড়ে গেছে। সড়কে নির্ধারিত গতির বেশি গাড়ী চালাচলে দুর্ঘটনা বেশি হয়। গাড়ী ও চালকের সকল কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে দেখা হয়।
পলাশবাড়ী ট্রাফিক পুলিশের টিআই মহিউদ্দিন বলেন, মোটর সাইকেল, হেলমেট বিহীন মোটর সাইকেল চালক, বাস, প্রাইভেট কারের কাগজ পত্র ও ফিটনেস ঠিক না থাকায় মামলা দেয়া হয়। বাসের বেশি জরিমানা করা হয়েছে। বাসের ছাদেও লোক নেয়ার কারণে মামলা হয়।
কয়েকজন চালক বলেন, একাধিকবার গাড়ীর মালিককে তাগাদা দিলেও কাগজপত্র ঠিক করে দেয় নি। গাড়ীর ব্যবসা খারাপ যাচ্ছিলো। আমাদের চালক লাইসেন্সে কোন ঝামেলা নেই। ঢাকা ফিরেই গাড়ীর কাগজের ঝামেলা ঠিক করা হবে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ট্রেজারি শাখা মোহাম্মদ মুনতাসির মারুফ বলেন, ঈদ পরবর্তী কর্মস্থলমূখী যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মহাসড়কে সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। গাড়ীর, চালক ও কাগজের ত্রুটি থাকায় মামলা হিসেবে অর্থ দন্ড বা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও বেশ কিছু গাড়ী দ্রুত গতিতে থাকায় তাদেরকেও মামলা দেয়া হয়। মোট ২৯ টি মামলায় ৭৪১০০ টাকা আদায় করা হয়। যা সরকারি কোষাগারে জমা হয়।
এফপি/রাজ