বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রাবার শিল্প নগরী বাইশারী বাজারের ত্রীমোহনী চত্বর সংলগ্ন সড়কের দুরবস্থা দিনদিন চরমে পৌঁছেছে।
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের জন্য যাতায়াত এখন যেন এক দুঃস্বপ্ন। কাদা, ভাঙাচোরা রাস্তা আর বড় বড় গর্ত পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়া তাদের নিত্যকার দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বর্ষাকালে এই দুর্ভোগ বহুগুণে বেড়ে যায়।
এই সড়কের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ বান্দরবান, কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ—বিভাগটি যেন দীর্ঘ নিদ্রায়। গণমাধ্যমে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ, সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ—সবই যেন নিষ্ফল। টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের।
২৭ মে মঙ্গলবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, বাইশারী বাজার থেকে আলীক্ষ্যং পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ। এর মধ্যে বাজারের মাত্র এক কিলোমিটার পথেই রয়েছে কলেজ, উচ্চবিদ্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহার ও শতাধিক বসতবাড়ি। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
প্রথম এক হাজার মিটারজুড়ে অসংখ্য গর্ত আর খানাখন্দে ভরা রাস্তা। যানবাহন চলাচল তো দুরের কথা, পায়ে হেঁটেও চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে কলেজ সংলগ্ন অংশটি গত বর্ষা মৌসুম থেকে এখনও সংস্কারের মুখ দেখেনি।
এলাকার সমাজসেবক মুহাম্মদ রফিক বসরী বলেন, ‘অবিলম্বে বাইশারী বাজার ত্রীমোহনী চত্বরসহ পুরো সড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন না করলে আগামী বর্ষায় শিক্ষার্থীদের চলাফেরা আরও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে।’ তিনি দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানান।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলম কোম্পানি বলেন, “দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।”
এখন দেখার বিষয়- সওজ বিভাগ বান্দরবানের ঘুম ভাঙে কবে? আর শিক্ষার্থীরা কবে নিরাপদে, নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে?
এফপি/রাজ