মাদারীপুরের শিবচরে হোসেনের হাট নামক এলাকায়, রাসেল সিকদার ও ইয়াসিন হাওলাদা’র বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির ও জোরপূর্বক ব্যবসায়ীদের দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ উঠেছে।
সাইফুল ইসলাম (২৬) নামের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায় চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারণে ঐ ব্যবসায়ীর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয় মোঃ রাসেল সিকদার ও ইয়াসিন হাওলাদা। দোকানদার মোঃ সাইফুল ইসলাম,বহেরাতলা ইউনিয়নের লপ্ত সরকারের চর হোসেনের হাটের একজন অটো পার্টসের ব্যবসায়ী।
উক্ত বিষয়ে শিবচর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত (১৭ মে) সকালে দোকানে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম দেখে তার দোকানে তালা ভাঙা এর পর দোকানের ভিতরে ঢোকে দেখে দোকানের মালামাল ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চুরি হয়েছে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় রাসেল সিকদার ও ইয়াসিন হাওলাদার ৫,০০০/-টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলামের কাছে, চাঁদার টাকা না দেওয়ার কারনে,রাসেল ও ইয়াসিন, ব্যবসায়ী সাইফুলকে তার নিজ দোকান থেকে জোর পূর্বক বের করে দিয়ে সাটার নামিয়ে জোর পূর্বক তালা লাগিয়ে দেয়।
উক্ত ঘটনার পর স্থানীয়দের জানালে বিষয়টি সম্পর্কে মিমাংসা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এর তিনদিন পর জোর পূর্বক তালা ঝুলিয়ে দেওয়া ঐ দোকানে রাতে আঁধারে চুরির ঘটনা ঘটে।
চাঁদাবাজদের টাকা না দেওয়ায় দোকানে হঠাৎ করে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় দোকানে ভিতরে থাকা নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র আর বের করতে না পারার কারণে দোকানে ঢোকাতে পারেনি ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম।
পরে দোকানে না থাকার কারণে উক্ত দোকানে চুরি ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ও নগদ অর্থ, ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র চুরি হয়।
এ ঘটনায় দোকানদার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী সাইফুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে আমার দোকানে গিয়ে আমার থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা পয়সা চাঁদা নিত রাসেল ও ইয়াসিন, এর পর আবার হঠাৎ একদিন আমার কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে,রাসেল ও ইয়াসিন,আমি চাঁদার টাকা না দিতে চাইলে আমার দোকান জোর পূর্বক বন্ধ করে দেয়, অভিযুক্তরা।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে। অভিযুক্তরা নেশা করে তাই তাদের সাথে কোন বাকবিতন্ডায় জড়াতাম না। দোকানে তালা দেওয়ার তিনদিন পর সেই দোকানে সাটারের তালা ভেঙ্গে ১টি এইচপি ল্যাপটপ, ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ ৪০,০০০/- টাকা এবং ১,০০,০০০/- টাকা মূল্যের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ,অটো ভ্যানের পার্টস চুরি হয়।
এ বিষয়ে আমি শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। সাইফুল আরো বলেন শুধু আমার সাথে নয় এ বাজারে আরো অনেকের সাথে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে কিন্তু ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস পায়নি।
এ বিষয় কথা বলতে অভিযুক্ত ইয়াসিন হাওলাদারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এই সব অভিযোগ মিথ্যা।
অভিযোগের বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) রতন শেখ জানান, অভিযোগ পেয়েছি,তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করছেন,ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এফপি/রাজ