সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকার কুরবানী ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত হতে শুরু করেছে কামারপাড়া। প্রস্তুতি চলছে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি তৈরির কাজ। কয়েক দিন পরেই কোরবানির ঈদ। তাই ব্যস্ততা বেড়েছে তাদের।
কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন শহরের মুনজিতপুর, ইটাগাছা, বড়বাজার, কদমতলা, সিটি কলেজ মোড়, মাগুরা, বাবুলিয়া, আবাদেরহাট, নারায়নজোল, রাজনগর, পরানদহা, পারুলিয়া, নলতা, কালীগঞ্জ, আশাশুনি, তালা, পাটকেলঘাটা, কলারোয়াসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার কারিগররা।
সাতক্ষীরা শহরের কদমতলা বাজারস্থ কামার কারিগররা জানান, সারা বছর তেমন কাজ না হলেও ঈদুল আজহার আগে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। এ সময়টিতে যারা কোরবানির পশু জবাই করেন তারা প্রত্যেকে চাপাতি, দা, বটি, ছুরি তৈরি করেন। তারা বলেন, কয়লাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেশি কিন্তু ক্রেতারা বেশি দাম দিয়ে কিনতে চান না। সারাদিনে যা আয় হয় তা দিয়ে ঠিকমতো সংসার চলে না। কিন্তু কোরবানির ঈদের সময় এ আয় একটু বেড়ে যায়। আমরা সারা বছর অপেক্ষায় থাকি এই সময়টার জন্য।
শহরের সিটি কলেজ মোড় এলাকার এক কর্মকার খোকন গাজী বলেন, বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় কাজ বেশি হয়। লোহার দাম কম থাকলেও কয়লাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বেশি। বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এ সময়টিতে কাজ বেশি হওয়ায় লাভ বেশি হয়।
সাতক্ষীরা শহরের মুনজিতপুর গ্রামের আব্দুল গফুর কামার বলেন পশু জবাই করা ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা। মাংস কাটা চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৫০টাকা থেকে ৩০০টাকা। চামড়া ছেলা ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০টাকা। তিনি আরও বলেন, বাপ-দাদারা এই পেশায় ছিলেন। আমাদের কামারি কাজ শিখিয়ে গেছেন। শত কষ্ট হলেও অন্য পেশায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
এফপি/রাজ