গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী নেত্রী রওশন আরার বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রোববার (১১ মে) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার বালাসি ঘাটের চৌমাথায় কাইয়ার হাটের ভুক্তভোগি ও এলাকাবাসী এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীর অভিযোগ মামলাবাজ রওশন আরা নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে ছেলে রুহুল আমিন শাপলাকে অন্যত্র সরিয়ে রেখে ২০ জন এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে থানায় একটি মিথ্যা মামলা দাখিল করেছেন।
প্রচণ্ড রোদকে উপেক্ষা করে তীব্র গরমেও কাইয়ারহাটের শিশু-নারীসহ সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাসেত সরকার, ফুলছড়ি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম সোলায়মান শহীদ, কঞ্চিপাড়া ইউপির সাবেক সদস্য রোকেয়া বেগম, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী মশিউর রহমান, মোতালেব সরকার, গোলাম কিবরিয়া সবুজ, মনছুর আলী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলেও সবুজ নামে একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মদদে পতিত স্বৈরাচারী সরকার দলের সন্ত্রাসী নেত্রী রওশন আরা এখনও এলাকার নিরীহ মানুষকে হয়রানি করছেন। বক্তারা আরও বলেন, মশিউর রহমান, মনছুর আলী, আমিনুল ইসলাম, শাহজালাল, আনোয়ার হোসেনসহ এলাকার ২০ জন মানুষকে আসামি করে রওশন আরা ছেলে রুহুল আমিন শাপলাকে গুম করার মিথ্যা মামলা থানায় দাখিল করেছেন। এই মিথ্যার অবশ্যই বিচার হতে হবে। বক্তারা বলেন, নিজের ছেলেকে গুম করে রেখে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করছেন রওশন আরা।
কথিত গুমের শিকার রুহুল আমিন শাপলাকে উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং বাদি রওশন আরাকে গ্রেফতারের জোর দাবি জানান বক্তারা।
অন্যতম ভুক্তভোগী মশিউর ও আনোয়ার হোসেন বলেন, নিজের ছেলে রুহুল আমিন শাপলাকে আত্মীয় বা অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখে রওশন আরা আমাদের বিরুদ্ধে যে গুমের মামলা দাখিল করেছেন, অবিলম্বে তার বিচার করতে হবে। তারা শাপলাকে উদ্ধার ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান।
অভিযুক্ত রওশন আরা বলেন, আমার ছেলে গুম হয়েছে। মামলা থেকে বাঁচতে তারা আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করছে।
গুমের অভিযোগে তদন্তকারী ফুলছড়ি থানার এসআই রুহুল আমিন মোবাইল ফোনে বলেন, এখনও ঘটনার তদন্ত চলছে। মানববন্ধন শেষে গাইবান্ধা-বালাসি সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
এফপি/এমআই