২০২৫ সালে বাংলাদেশ সরকার গ্যাস বিক্রির মাধ্যমে প্রায় ৩৮,৯৭০ কোটি টাকা আয় প্রত্যাশা করছে, তবে এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৫৬,৬৪৬ কোটি টাকা। ফলে বাজেটে ৬,৫০০ কোটি টাকার ভর্তুকি সত্ত্বেও, সরকারকে ১১,১৭৬ কোটি টাকার ঘাটতি মোকাবিলা করতে হবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা ফৌজুল কবির খান জানিয়েছেন, অতিরিক্ত এলএনজি আমদানির ফলে এই ঘাটতি সৃষ্টি হলেও, শিল্প উৎপাদন ব্যাহত হলে তার ক্ষতি আরও বেশি হবে। তাই সরকার গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছে।
বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ২,৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়, যার মধ্যে ১,৯০০ থেকে ২,০০০ মিলিয়ন ঘনফুট দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি এলএনজি আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এলএনজি মিশ্রিত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য প্রতি ঘনমিটারে ২২.৬৪ টাকা, যেখানে আমদানি ব্যয় ২৯.৭২ টাকা, ফলে প্রতি ঘনমিটারে ৭.৮ টাকা ঘাটতি হচ্ছে।
২০২৫ সালে পেট্রোবাংলা ১১৫টি এলএনজি কার্গো আমদানির পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে ৫৯টি স্পট মার্কেট থেকে এবং ৫৬টি দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে। স্পট মার্কেট থেকে আমদানিকৃত প্রতিটি কার্গোর ব্যয় ৪৫-৫০ মিলিয়ন ডলার, যা দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহকারীদের তুলনায় বেশি।
ডলার সংকটের কারণে এলএনজি আমদানিতে বিল পরিশোধে সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ৩৫০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে চাচ্ছে। এছাড়া, সরকার গ্যাস সরবরাহের ভারসাম্য রক্ষা করতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে গ্যাস সরিয়ে শিল্প খাতে সরবরাহের পরিকল্পনা করছে।
এই পরিস্থিতিতে, সরকার এলএনজি আমদানির ব্যয় এবং শিল্প উৎপাদন রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা করছে, যাতে গ্যাসের দাম না বাড়িয়ে শিল্প খাতকে সচল রাখা যায়।
এফপি/রাজ