Dhaka, Thursday | 8 May 2025
         
English Edition
   
Epaper | Thursday | 8 May 2025 | English
সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন: চীনা রাষ্ট্রদূত
জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা বিভক্ত, দ্বিধান্বিত: মাহফুজ আলম
ক্ষণজন্মা রফিকুল বারী চৌধুরী—বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক অনন্য নক্ষত্র
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন আজ
শিরোনাম:

ক্ষণজন্মা রফিকুল বারী চৌধুরী—বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের এক অনন্য নক্ষত্র

প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫, ৪:৩৬ পিএম  (ভিজিটর : ২১)
রফিকুল বারী চৌধুরী। ফাইল ছবি

রফিকুল বারী চৌধুরী। ফাইল ছবি

দেশ বরেণ্য চলচ্চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক রফিকুল বারী চৌধুরীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০৫ সালের ৮ মে, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন জগতে অবিস্মরণীয় এক নাম রফিকুল বারী চৌধুরী। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম চিফ ক্যামেরাম্যান এবং চলচ্চিত্রের একজন দক্ষ চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক। টেলিভিশন কেন্দ্রীক ক্যামেরাম্যান প্রশিক্ষণের তিনি ছিলেন পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তারও আগে এফডিসি প্রতিষ্ঠার আগে ১৯৫৪ সালে তিনি লাহোরে সহকারী চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেন। ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠিত হলে তিনি সেখানে ক্যামেরা বিভাগে যোগ দেন। ১৯৬৪ সালে এস এম মশফি পরিচালিত ‘ইয়ে ভি এক কাহানী’ ছবিতে চলচ্চিত্র গ্রাহক হিসেবে কাজ করেন রফিকুল বারী চৌধুরী। প্রথম ছবিতেই তাঁর চিত্র গ্রহণের ধরন (ফর্ম, ফ্রেমিং এন্ড লাইটিং) ভুয়সী প্রশংসা অর্জন করে। অমায়িক সজ্জন এই মানুষটি ছিলেন নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান।

রফিকুল বারী চৌধুরীর জন্মস্থান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর চৌধুরী বাড়ি। তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) প্রথম চিফ ক্যামেরাম্যান হিসেবে নিয়োগ পান এবং দেশের টেলিভিশন শিল্পকে নতুন মাত্রা দেন। পরবর্তীতে তিনি চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন এবং তার প্রতিভার মাধ্যমে দেশীয় চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করেন।

তিনি ছিলেন ক্যামেরার জাদুকর। তার শৈল্পিক দক্ষতার প্রমাণ পাওয়া যায় বিভিন্ন জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে: গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), দুই পয়সার আলতা (১৯৮২), হীরা মাটি (১৯৮৮), জয়যাত্রা (২০০৪) এইসব চলচ্চিত্রে তার অনবদ্য চিত্রগ্রহণ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া পরিচালক হিসেবেও তার ছবি ঋদ্ধ দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। এর মধ্যে ‘তানসেন’, ‘রজকিনী চণ্ডিদাস’, ‘ভুল যখন ভাঙলো’ ও ‘পেনশন’ উল্লেখযোগ্য।

চিত্রগ্রাহক হিসেবে অসংখ্য জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে কাজ করার পাশাপাশি তিনি ‘বাংলা মা-এর দামাল ছেলে’ (১৯৯৪) নামে একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেন, যা বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করে। তার সৃজনশীলতা, নিষ্ঠা ও পরিশ্রম দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পের পথিকৃত হয়ে থাকবে।

রফিকুল বারী চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের এক বিস্ময়কর ব্যক্তিত্ব। তার কর্ম ও অবদান আজও অনুপ্রেরণা জাগায়। চলচ্চিত্রপ্রেমীরা এবং নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা তার কাজ থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।

এফপি/এমআই
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝