৭ মে ভোরে, ভারত ‘অপারেশন সিন্ধুর’ নামে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে একাধিক স্থানে বিমান হামলা চালায়। ভারতের দাবি, এই হামলা ২২ এপ্রিল পহেলগামে হিন্দু পর্যটকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে চালানো হয়েছে, যেখানে ২৬ জন নিহত হন। ভারত অভিযুক্ত করেছে পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’কে।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, এই হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ৪৬ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে শিশু ও নারীও রয়েছেন। বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর ইস্ট, কাশ্মীরের মুজাফফরাবাদ ও কোটলি, পাঞ্জাবের মুরিদকে এবং শিয়ালকোট ও শাকারগড়সহ ছয়টি স্থানে হামলা চালানো হয়। কয়েকটি মসজিদ, যেমন বিলাল মসজিদ ও উম্মুল কুরা মসজিদ, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে এবং একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর ধ্বংস করেছে। ভারতীয় পক্ষ এই দাবি অস্বীকার করেছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ‘অপারেশন সিন্ধুর’ ছিল একটি সুনির্দিষ্ট ও সীমিত প্রতিক্রিয়া, যেখানে নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্যবস্তু করা হয়, বেসামরিক অবকাঠামো নয়।
এই ঘটনার পর, ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশই কূটনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি জোরদার করেছে। পাকিস্তান তার আকাশসীমা ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে এবং বিমানবন্দরগুলোতে ফ্লাইট স্থগিত করেছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন, উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
কাশ্মীর ইস্যুতে দীর্ঘদিনের বিরোধের প্রেক্ষাপটে এই সাম্প্রতিক সংঘর্ষ দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত কূটনৈতিক সমাধান না আসে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এফপি/রাজ