শুরু হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের-(কুবি) ‘বি-ইউনিটের’ ভর্তি পরীক্ষা। এ পরীক্ষাকে ঘিরে রয়েছে নানান জনের নানান প্রত্যাশা ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প। কুমিল্লার প্রায় ২১টি কেন্দ্রে কুবি ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের যেমন রয়েছে উচ্ছ্বাস ও প্রত্যাশা, তেমনি অভিভাবকদেরও রয়েছে সন্তানদের প্রতি অত্যধিক প্রত্যাশা, স্বপ্ন ও ভালোবাসা।
তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে কুমিল্লায় ছুটে আসেন তাদের স্নেহের সন্তানকে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে’ পড়াবেন বলে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসা, সন্তানকে কেন্দ্রে পৌঁছে অপেক্ষমান থাকার এক প্রেমময় প্রতিচ্ছবি ফুটে বাবা-মায়ের মুখে।
‘দ্যা ফিন্যান্সিয়াল পোস্টে’র প্রতিবেদনে উঠে আসছে তেমনি এক বাবার গল্প। যিনি সুদীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে নিজের মেয়েকে নিয়ে ‘পাবনা’ জেলার ‘ঈশ্বরদী’ উপজেলা থেকে কুমিল্লায় এসেছেন মেয়েকে ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পড়াবেন বলে। তার নাম মোহাম্মদ ওহিদুল ইসলাম শাহিন। মেয়ের নাম সিনথিয়া বিনতে ইসলাম।
পরীক্ষা চলাকালীন সময় জুড়ে মেয়ের প্রতীক্ষায় মোহাম্মদ ওহিদুল ইসলাম শাহিনকে ‘কুমিল্লা ল্যাবরেটরি হাই স্কুল’ কেন্দ্রের মূল ফটকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
দ্যা ফিন্যান্সিয়াল পোস্টেকে তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল রাতে আমার মেয়েকে নিয়ে ঈশ্বরদী থেকে ঢাকায় আসি। ঢাকায় আমার ভাইয়ের বাসায় অবস্থান করি। আমার চেষ্টাটা আমি করছি আর মেয়ের চেষ্টা মেয়ে করছে। আমাদের অনেক প্রত্যাশা তার প্রতি। বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেলেই সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। তাঁর ইচ্ছা সে আইন নিয়ে পড়বে।’
এফপি/এমআই