পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলার আলীপুর ইউনিয়নের পূর্ব আলীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে গত শনিবার বিকেলে ফুটবল ফাইনাল খেলা উদ্ধোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মঞ্চ ভাংচুর, নেতাকর্মীদের পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ করা হয়।
পরে শনিবার দশমিনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মধ্যস্ততায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজনে ফুটবল খেলা ও পুরস্কার বিতরনের ব্যবস্থা করা হয়।
ফুটবল ফাইনাল খেলা উদ্ধোধন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন আমি পটুয়াখালী ৩, দশমিনা-গলাচিপা আসনে ট্রাকপ্রতিক নিয়ে নির্বাচন করবো। আওয়ামী লীগ সরকার দেশ থেকে পালাবার পর দশমিনায় একটি দল চর দখল, চাঁদাবাজি, স্কুল দখল সহ নানা অপকর্মে লিপ্ত আছে।
তিনি নেতা কর্মীদের বলেন, ফুটবল খেলা বাঞ্চাল করার জন্য বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা গণঅধিকার পরিষদের নেতাদের মারধর করে আহত করে ঠিক করেননি।
‘দশমিনা-গলাচিপা উপজেলায় নুরের সমাবেশ করতে দেবে না এমন কুতুব থাকতে পারে না। গণ অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের সাথে ঝামেলা করলে এ সকল ঝামেলা কি ভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা আমরা জানি । কেহ পায়ের উপর পারাদিয়ে ঝগড়া করলে আমাদেও নেতাকর্মীরা আঙ্গুল চুষবে’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের এমন বক্তব্য মুহুর্তের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এতে করে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই বক্তেব্যের প্রতি তিব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
উপজেলা বিএনপির নেতা বেল্লাল হোসেন লিখেছেন- “বিএনপির গায়ে টোকা মারছো দেখি কি হয়”। ছাত্রদল নেতা পোস্ট করেন- ‘বিএনপির গুন্ডারা হুশিয়ার সাবধান এ স্লোগানের সাহস পায় কোথায় ।’ স্বেচ্ছাসেক দলের আহবায়ক বলেন- “ওরে হা* দেখ কত বড় কলিজা”। কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহম্মেদ জিদনি লিখেন “ওরে হা* দেখ কতোবড় কলিজা বিকাশ”।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির বক্তব্যকে কেন্দ্র করে এবং বিএনপি ও সহযোগি সংগঠনের নেতাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন পোস্ট প্রচার কারায় রাজনৈতিক পরিবেশ থমথমে বিরাজ করছে।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জানান- গত শনিবার একই মাঠে দুই দলের ফুটবল খেলার কথা ছিলো ছাত্রদলের লিখিত অনুমতি নেওয়া। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতির বক্তব্য ছিলো প্রতিহিংসা পরায়ন। একটি দলের নেতা এভাবে কথা বলতে পারে না। তার হয়তো জানা নেই বিএনপি একটি বৃহৎ দল। কথা বলার নম্রতা ও ভদ্রতা হারিয়ে ফেলেছে। আমার হাসান মামুনের নেতৃত্বে সহনশীর রাজনীতি করি। কোন সংঘাত চাই না। আমরা জনগণের পাশে থেকে রাজনীতি করার জন্য কাজ করছি।
উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি লিয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন বাংলাদেশের গণতন্ত্রে সকলের কথা বলার অধিকার আছে। জুলাইয়ের পরবর্তী দশমিনা উপজেলায় বিএনপির অর্জন চর দখল, চাঁদাবাজি, স্কুল দখল, সালিশির নামে টাকা আদায়, ঘর দখল করা । আমাদের নেতাকর্মীদের মারধর করবে আমরা বসে থাকবো। আমাদের নেতার কথাই শেষ কথা।
এফপি/রাজ