পবিত্র ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা নয় দিন বন্ধ থাকবে বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। আগামী ২৮ মার্চ থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি কার্যক্রম চলবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (কাস্টমস নীতি) মুকিতুল ইসলাম এক পত্রে এ তথ্য জানান।
পত্রে টানা নয় দিন কাস্টমস ও বন্দর বন্ধ থাকার কথা থাকলেও (ঈদের দিন ছাড়া) সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত কার্যক্রম সীমিত আকারে চলমান রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, আগামী ২৭ মার্চ বিকেল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে যাবেন। এছাড়াও অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন। তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে না আসা পর্যন্ত কোনো পণ্যও খালাস হবে না। আগামী রোববার (৬ এপ্রিল) থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
তিনি আরও জানান, লম্বা ছুটির কারণে সীমান্তের দুই পাশের বন্দরে ট্রাকজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা ও গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজে কাঁচামালের সংকট দেখা দিতে পারে এবং উৎপাদন ব্যাহত হবে, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ক্ষতি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভীড় থাকে। তবে আগের বছরগুলোতে ঈদের ছুটিতে হাজার হাজার যাত্রী ভারতে গেলেও এ বছর কোনো চাপ নেই।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ঈদের ছুটি হয়ে যাচ্ছে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ৬ এপ্রিল থেকে যথারীতি এ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে এবং বন্দরের কর্মতৎপরতা বাড়বে।
এফপি/এমআই