বৃহত্তর ঐক্যের জায়গা থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটা জানান তিনি।
আসন্ন নির্বাচনে এককভাবে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় আসা হয়েছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন এসেছে। আধিপত্যবাদী শক্তি এখনো সক্রিয় এবং তারা নির্বাচন বানচাল করে জুলাই যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন জোটে যুক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন নাহিদ ইসলাম। নাহিদ ইসলাম বলেন, আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে নিজেদের সুরক্ষা এবং বৃহত্তর ঐক্যের লক্ষ্যে এনসিপি ১০ দলীয় জোটে অংশ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ঐকমত্য কমিশনে এনসিপি দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং এটি তাদের দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।
নাহিদ ইসলাম জানান, সোমবার মনোনয়ন বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, “সমঝোতার ভিত্তিতে যাদের প্রার্থী করা হবে, তারাই মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। সারা বাংলাদেশে আমরা একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেব।”
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, যেখানে এনসিপির প্রার্থী থাকবে না, সেখানে জোটভুক্ত দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণা চালাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও তাদের সহযোগী সংগঠন। পাশাপাশি এনসিপি সারা দেশে গণভোটের পক্ষে ক্যাম্পেইন করবে।
তিনি জানান, এনসিপি গণভোটের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি চায় এবং এ বিষয়ে বিএনপিকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। “আমরা জুলাই সনদের আলোকে দেশ গঠনের পরিকল্পনা করতে চাই। গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষেই এনসিপি প্রচারণা চালাবে,” বলেন নাহিদ ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করেন, জোটে থাকলেও এনসিপি ও জামায়াত নিজ নিজ আদর্শ অনুযায়ী আলাদাভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাবে।
এফপি/এমআই