সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে মনোনয়ন না দিয়ে নীলফামারী-১ আসনে বিএনপি জোটের মনোনয়ন পেলেন জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকায় সাংবাদিক সম্মেলনে নীলফামারী-১ আসনে জোটের প্রার্থী হিসেবে মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর নাম ঘোষনা করেন। মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী জেলার ডোমার উপজেলার সোনারায় ধনীপাড়া এলাকার মরহুম রশিদুল হাচানের ছেলে ও বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা এহসানুল হক আফেন্দীর নাতী।
২০০১ সাল থেকে বিএনপি জোটের সাথে ছিল জমিয়ত। ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন তিনি। ব্যক্তি জীবনে আফেন্দী তিন সন্তানের জনক। তিনি জামেয়া ইসলামিয়া আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় শাইখুল হাদিস হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
নীলফামারী-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে ও সাবেক সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের। সে অনুযায়ী তিনি ১৭ বছর পর দেশে এসে নীলফামারীর প্রতিটি এলাকায় দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলেন। ডোমার-ডিমলার প্রতিটি মিটিংয়ে জনশ্রোত লেগে থাকতো।তাকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের যেমন প্রত্যাশা ছিল তেমনি এলাকার মানুষের আশা ছিল তিনি এবার এমপি হলে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করবেন।তবে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিএনপি থেকে জোটের মনোনয়ন পেলেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী। তবে ভোটাররা মনে করছেন বিএনপির দু:সময়ে জমিয়ত বিএনপির সাথে থাকায় জমিয়তকে পুরস্কার হিসেবে চারটি গুরুত্বপূর্ণ আসন দিয়েছে বিএনপি। এদিকে বিএনপি থেকে তুহিন মনোনয়ন না পাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছে। তারা আশা করছেন শেষ পর্যন্ত তুহিনেই দলীয় মনোনয়ন পাবেন।
মনোনয়ন পাওয়ায় মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বিএনপির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। র্নিবাচিত হলে মানুষের কল্যানে কাজ করে যাবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে জোটের প্রার্থী হলেও ধানের শীষ প্রতিকে ভোট করতে পারবেন না আফেন্দী। তাকে তাদের দলীয় প্রতিক খেজুঁর গাছ মার্কা নিয়েই নির্বাচন করতে হবে। এখন দেখার পালা খেজুঁর গাছ মার্কা নিয়ে কতটা সাফল্য অর্জন করতে পারেন তিনি।
এফপি/জেএস