নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় নিখোঁজের তিন দিন পর সোহাগ হোসেন (২৫) নামের এক যুবকের অর্ধগলিত ও রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার বনপাড়া–হাটিকুমরুল মহাসড়কের পাশে আগ্রাণ তেল পাম্প এলাকার একটি আম বাগান ও গাছের শিকড়ের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সোহাগ বড়াইগ্রাম উপজেলার চক বড়াইগ্রাম এলাকার নাজমুল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, মরদেহের মুখমণ্ডল আংশিক থেঁতলানো ছিল। এছাড়া পায়ের রগ কাটা ও চোখ উপড়ানো অবস্থায় পাওয়া যায়, যা হত্যাকাণ্ডের ইঙ্গিত দেয়। মরদেহটি অর্ধগলিত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগেই তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে সোহাগ নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় বড়াইগ্রাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পরিবারের দাবি, বুধবার রাতে সোহাগের বন্ধু আকাশ বালু আনলোডের কাজের কথা বলে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সোহাগ আর ফিরে আসেননি। নিখোঁজের পর থেকেই আকাশ পলাতক থাকায় পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। জিডির সূত্র ধরে সন্দেহ ভাজনদের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফপি/জেএস