খুলনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আওয়ামীপন্থি আইনজীবী, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য পারভেজ আলম খানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (০১ ডিসেম্বর) খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচার মোহা: মহিদুজ্জামান এ নির্দেশ প্রদান করেন।
এর আগে আইনজীবী এ বছরের (২৩ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নেয়। হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় পরবর্তীতে নিম্ন আদালতের বিচারক (৩০ অক্টোবর- ১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত তাকে অন্তবর্তী জামিন দেন। পরে ভারপ্রাপ্ত মহানগর দায়রা জজ তাকে (১ ডিসেম্বর) পর্যন্ত পূর্বের আদেশ বর্ধিত করেন। জমিন মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সোমবার উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে তা না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত
আদালতের সূত্র জানায়, (২২ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন ময়লাপোতা মোড়ে সন্দেহজনক ঘোরাফের জন্য এড. এমএম মজিবর রহামানকে আটক করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। তিনি মোবাইল ফোনের বিভিন্ন এ্যাপের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তাদের সাথে সামিল হয়ে বর্তমান সরকারকে উৎখাত এবং দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
পরবর্তীতে এ চক্রান্তের বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে খালিশপুর থানার একটি জিডির সূত্রে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে প্রেরণ করলে আদালতে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে এ ঘটনায় নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই বিধান চন্দ্র রায় বাদী হয়ে গত ১১ আগষ্ট এড. এমএম মজিবর রহমান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এডভোকেট পারভেজ আলম খান, সাবেক সংসদ শেখ হেলাল এবং জুয়েলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন, যার নং ১৪।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি এডভোকেট এ. কে. এম শহিদুল আলম শাহিদ জানান, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ৩ নং আসামি এড. পারভেজ আলম খান। তিনি উল্লেখিত আসামিদের সাথে যুক্ত হয়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিলেন। আসামি এড. পারভেজ আলম খান (২ সেপ্টেম্বর) উচ্চ আদালত থেকে ৮ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।
পরবর্তীতে নিম্ন আদালত থেকে অন্তবর্তী জামিন এবং বর্ধিত করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে তিনি আত্মসম্পণ করে জামিন চাইলে আদালতে তা না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।