ডিমকে ‘সুপারফুড’ বলা হয়, আর সেটা কিন্তু ঠিকই। নিয়মিত ডিম খেলে শরীরের নানা পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হয়। অনেকেই ভাবেন রোজ কতটা ডিম খাওয়া নিরাপদ? শীতে কি পরিমাণ বাড়ানো উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
কেন ডিম এত দরকারি?
বাংলাদেশি বাড়িতে ডিম থাকলেই যেন সব ঝামেলা শেষ। ঝটপট নাশতা, বাচ্চাদের টিফিন, কিংবা মাছ-মাংস না থাকলে তরকারির বদলে ডিম—এ এক জিনিস দিয়ে সবই সম্ভব। আর প্রতিদিন একটি বা দুটি ডিম খেলে শরীর বেশ ভালোই পুষ্টি পায়।
শীতে ডিম কেন বেশি খাওয়া উচিত?
ডিমে থাকে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি গ্রুপ, ভিটামিন বি–১২, বায়োটিন, রিবোফ্লাভিন, থায়ামিন, উচ্চমানের প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সেলেনিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি। এসব উপাদান শীতকালে রোগ-সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে।
ডিমের প্রোটিন শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সহায়তা করে, ফলে ঠান্ডা-কাশি বা অন্যান্য মৌসুমি অসুখের ঝুঁকি কমে যায়। সহজভাবে বললে, শীতে ডিম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ভিটামিন ডি পূরণে দারুণ
শীতের দিনে রোদ কম পাওয়া যায়, তাই শরীর স্বাভাবিকভাবে ভিটামিন ডি কম তৈরি করে। ফলে অনেকের ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু ডিম হলো খুব কম খাবারের মধ্যে একটি, যেখানে প্রাকৃতিকভাবে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। তাই শীতকালে ডিম আরও দরকারি হয়ে ওঠে।
আর কী কী উপকার হয়?
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে—প্রতিদিন ডিম খেলে হার্টের নানা সমস্যা, স্ট্রোকসহ অনেক রোগের ঝুঁকি কমে। একটি ডিমের কুসুমে থাকে ১৮৬-২০০ মিগ্রা কোলেস্টেরল, যা ‘ভালো কোলেস্টেরল’ বাড়াতে সাহায্য করে।
ডিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় এবং চোখের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তির জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিও ডিমে রয়েছে। পাশাপাশি শরীরে পেশি গঠনে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাহলে দিনে কয়টা ডিম খাবেন?
একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিদিন ১-২টি ডিম নিশ্চিন্তে খেতে পারেন। শীতকালে প্রতিদিন ১-২টি ডিম খাওয়া বেশ উপকারী। তবে বাকি খাবারগুলোও যেন সুষম থাকে, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস বা কোলেস্টেরল বেশি থাকলে সপ্তাহে ৫-৭টি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে ভালো।
এফপি/জেএস