সাভারে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহযোগিতায় মশা নিধন কার্যক্রম শুরু করেছে এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার বিকেলে সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন দক্ষিণ গাজীরচটের আদর্শ সোসাইটি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়।
সম্প্রতি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধামসোনা ইউনিয়নের আদর্শ সোসাইটি এর মহল্লাবাসির উদ্যোগে ফগার মেশিন কিনে মশা নিধনের কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহবুবুর রহমানের নজরে আসলে, দ্রুত সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তিনি। তার নির্দেশে ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রায় ২৫ লিটার মশা নিধন ঔষধ পৌঁছে দেয় এলাকাবাসীর কাছে।
দক্ষিণ গাজীরচট এলাকার আদর্শ সোসাইটির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত ওনারারি ক্যাপ্টেন হাদীসুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় গার্মেন্টস শ্রমিক দিনমজুর সহ স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস বেশি। বর্তমান পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। তাই আমরা স্বল্প পরিসরে ডেঙ্গুর প্রভাব থেকে বাঁচতে, মশা নিধন কর্মসূচি হাতে নেই। তবে মশা নিধনের ঔষধের অভাবে কার্যক্রমটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। বিষয়টি সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয়ের নজরে আসলে তিনি অতি দ্রুত আমাদেরকে ঔষধের ব্যবস্থা করে দেন। এতে আমরা আবার কার্যক্রমটি পুনরায় চালু করেছি। ইউএনও মহোদয়ের এভাবে স্ব-ইচ্ছায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ায়, আমাদের সোসাইটির সর্বসাধারণ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আদর্শ সোসাইটির যুবক অপু মৃধা বলেন, আমাদের সোসাইটির কার্যক্রম দেখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মহোদয় এত তাড়াতাড়ি সহযোগিতার হাত বাড়াবেন আশা করিনি। আমরা তার সহযোগিতা পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। আমাদের সোসাইটিতে প্রায় ১০ হাজার লোকের বসবাস। ঘনবসতি হওয়ায় মশার প্রাদুর্ভাব বেশি। এছাড়াও আমাদের নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি। তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অনেকটাই দিশেহারা হয়ে পড়ে। আমরা আশা করব ইউএনও মহোদয় সামনে আমাদের সোসাইটির উন্নয়নে আরো সহযোগিতা করবেন।
আদর্শ সোসাইটির অন্য আরেক যুবক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু রোগের পাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় আমরা ছোট পরিসরে স্প্রের ব্যবস্থা করেছিলাম, কিন্তু ঔষধের দাম বেশি হওয়ায় আমরা চিন্তায় পড়ে যাই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের এই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে, অতি দ্রুত তার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। আজকে থেকে আমরা আবার নতুন করে মশা নিধন কর্মসূচি চালু করেছি। অন্যান্য এলাকা থেকে আমাদের এলাকায় এখন মশা অনেকটাই কমে গেছে। আশা করি আমাদের সোসাইটির আওতাধীন এলাকায় নতুন করে কোন ডেঙ্গু রোগী আক্রান্ত হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, মাহবুবুর রহমান বলেন, আমি অনলাইন মাধ্যমে এলাকাবাসীর ডেঙ্গু প্রতিরোধ কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে পারি, তাদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছি। সামাজিক উন্নয়নমূলক সব ধরনের কাজের সহযোগিতা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়াও জনগণকে তাদের বাড়ির আশেপাশে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং জমা জল দ্রুত অপসারণ করতেও পরামর্শ দেন তিনি।
এফপি/অ