হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচেও সেই পুরোনো ব্যাটিং ব্যর্থতার চিত্র। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের একার লড়াইয়ের পরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারল না বাংলাদেশ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলের মাঝে তানজিদ সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও আউট হন ৮৯ রানে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান সংগ্রহ করেছে লিটন দাসের দল। বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ১৫২ রান।
আজ চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে একাদশে চারটি বড় পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম দুইবার জীবন পান। তবে তার সঙ্গী দলে ফেরা পারভেজ হোসেন ইমন (৯) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ২২ রানে প্রথম উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু দলের হাল ধরার বদলে তিনিও হতাশ করেন। মাত্র ৯ বলে ৬ রান করে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। ৪৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দল।
তৃতীয় উইকেটে সাইফ হাসানকে (২২ বলে ২৩) নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন তানজিদ। এই জুটিতেই ভর করে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। একপ্রান্তে অবিচল থাকা তানজিদ ৩৬ বলে তুলে নেন দুর্দান্ত এক হাফ সেঞ্চুরি। এই ইনিংস খেলার পথেই তিনি বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম (৪২ ইনিংসে) ১০০০ টি-টোয়েন্টি রানের মাইলফলকও স্পর্শ করেন।
কিন্তু সাইফের বিদায়ের পরই নামে নাটকীয় ধস। ১৬তম ওভারের শেষ বল থেকে ১৯তম ওভারের শেষ বল পর্যন্ত টানা চার ওভারে শেষ বলে একটি করে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রিশাদ হোসেন (৩), নুরুল হাসান সোহান (১), নাসুম আহমেদ (১) ও জাকের আলী অনিক (৫) একে একে সাজঘরে ফেরেন। একপ্রান্তে তানজিদ তখন সতীর্থদের এই আসা-যাওয়া দেখছিলেন অসহায় হয়ে। সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেননি তানজিদ। শেষ ওভারের প্রথম বলে রোমারিও শেফার্ডের বলে আউট হন তিনি। ৬২ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ৮৯ রান করেন তিনি। তার বিদায়ের পরের বলে শরিফুলও আউট হন। শেষদিকে তাসকিনের এক ছক্কায় (৪ বলে ৯*) দলের রান দেড়শ পার হয়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে হ্যাটট্রিকসহ ৩ উইকেট নিয়েছেন শেফার্ড। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন শেফার্ড। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন স্পিনার পিয়েরে ও হোল্ডার। একটি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও রোস্টন চেজ।
এফপি/এমআই