মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪/২০২৫ সেশনে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তিতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একাধিক শিক্ষার্থীর মিউচুয়াল ট্রান্সপারে অনিয়ম, ভূয়া প্রত্যয়নের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির অভিযোগ করছেন মাহমুদ হাসান নামে এক অভিভাবক। তিনি এসব অভিযোগ লিখিত আকারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক, ও ময়মনসিংহ দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করেন।
তার অভিযোগের ভিত্তিতে খুঁজ নিতে গিয়ে তিনটি মিউচুয়াল ট্রান্সফার ভর্তিতে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রাধন শিক্ষক শেখ মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ । তিনি বলেন এ ধরনের অনিয়মের মাধ্যমে আরো কয়জন ভর্তি হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে অত্র বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক রাখাল চন্দ্র করকে প্রধান করে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আজিজুল হক ও সহকারী শিক্ষক মোঃ নুরুজ্জামান সহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
রোববার (২৬ অক্টোবর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল ওয়াদুদ।
অভিযোগ সূত্র ও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ভাষ্য মতে জানা যায়, ২০২৪/২৫ সালে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরে অনিময় ও দূর্নীতির মাধ্যমে একাধিক শিক্ষার্থীকে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ করে দেন তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো : রফিকুজ্জামান ইদ্রিসি।
তিনি আরও জানান সৃজন ঘোষ নামে ৬ষ্ঠ শ্রেণির মর্নিং শিফটের কর্ণফুলির শাখার মাসরুর বিন জামান নামের পাশ্ববর্তী ধর্মপাশা উপজেলার বাদশাগঞ্জ সরকারি পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মিউচুয়াল ট্রান্সফার করা হয়। বাস্তবে সৃজন ঘোষ পাইলট স্কুলে ভর্তি হলেও বছরের শুরু দিকে নেত্রকোনার আঞ্জুমান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে সেখানে সে নিয়মিতভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে। তার এই শূন্য আসনে ভূয়া প্রত্যয়ন তৈরি করে মাসরুর বিন জামান কে পাইলট স্কুলে ভর্তি করা হয়।
একইভাবে মওদুদ আহমেদ মাহিন নামের আরেক শিক্ষার্থী কে আরাফ ঢালী নামক শিক্ষার্থীর স্থলে ভর্তি করা হয়, আরাফ ঢালী বর্তমানে নেত্রকোনা কালেক্টরেট স্কুলে অধ্যয়নরত। মাহমুদ হাসান চৌধুরীর অভিযোগ তার মেয়ে মাহফুজা হাসান বানিয়াজান উচ্চ বিদ্যালয়ে ওয়েটিং লিষ্টে ১৪৮ তম কে না নিয়ে ১৫০ তম ফারহান সিদ্দিকীকে অনিয়ম করে ভর্তি করে, মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে মিউচুয়াল ট্রান্সফার করা হয়।
এবিষয়ে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর যমুনা শাখার শ্রেণি শিক্ষক আলতাব হোসেন লাবিব জানান, মিউচুয়াল ট্রান্সফারের বিষয় প্রধান শিক্ষক ভালো বলতে পারবেন। আর এসময় যদি কেউ কোন দূর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকে তা আমার জানা নেই।
সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান ইদ্রিসি জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে মিউচুয়াল ট্রান্সফার গুলো করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নিয়মের কোন ব্যথয় ঘটেনি।
তদন্ত কমিটির প্রধান রাখাল চন্দ্র কর জানান, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর, তদন্তের কাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এবিষয়ে কিছু বলা সমীচীন হবে বলে মনে হয় না। যদি এরকম কাজ কেউ করে থাকে তাহলে তা অবশ্যই ঘৃণিত ও স্কুলের দীর্ঘ দিনের সুনাম নষ্ট করবে।
এফপি/অ