শিরোনাম: |
ঢাকায় বিএনপির কার্যালয়ে সুনামগঞ্জ জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনের বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠকের পর, জেলার তৃণমূল বিএনপি'র ভোটার ও সমর্থকদের মাঝে দৃশ্য পট পাল্টে স্বস্তি ফিরেছে।
আসন্ন জাতীয় ত্রয়োদশ নির্বাচনে সুনামগঞ্জের ৫-টি সংসদীয় আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১১ জন নেতার সাথে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ওই বৈঠকের পর তৃণমূল বিএনপি'র ভোটারদের ও কর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করলেও অন্যদের মাঝে কিছুটা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তবে সার্বিক ভাবে ভোটাররা বলেছেন পরিধি কিছুটা ছোট করায় তারা স্বস্তিতে আছেন।
ওই বৈঠকের পর তাদেরকে নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় কাজ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গত ১৯ অক্টোবর বিকেলে গুলশান-২ এর দলীয় কার্যালয়ে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মধ্যে প্রথমেই সুনামগঞ্জের ৫ টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক করেন দলীয় মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
দলীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি আসনে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতাকে সক্রিয় হয়ে সংগঠন শক্তিশালী করা, তৃণমূল নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা, জনগণের কাছে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে । একই সঙ্গে কেউ যেন দলীয় সহকর্মীর প্রতি অপপ্রচার বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য না করে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
জেলার ৫ টি আসনের মধ্যে রয়েছেন, সুনামগঞ্জ-১, (জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর) আনিসুল হক, কামরুজ্জামান কামরুল ও সালমা আক্তার।
সুনামগঞ্জ-২, (দিরাই-শাল্লা) নাসির চৌধুরী ও তাহির রায়হান পাভেল।
সুনামগঞ্জ-৩, (জগন্নাথপুর-শান্তিগঞ্জ) কয়ছর এম আহমদ।
সুনামগঞ্জ-৪, ( সুনামগঞ্জ সদর-বিশ্বম্ভরপুর) দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, এডভোকেট নূরুল ইসলাম, এডভোকেট আব্দুল হক।
সুনামগঞ্জ-৫, (ছাতক-দোয়ারাবাজার) কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন ও মিজানুর রহমান চৌধুরী।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় গুলশান কার্যালয়ে “সুনামগঞ্জ-৩ আসনে শুধু কয়ছর এম আহমদ, বাকি আসন গুলোতে ১০ জনকে নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।” এখান থেকেই পরবর্তীতে চুড়ান্ত প্রার্থী মনোনীত হবেন বলে জানা গেছে।
বৈঠক শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এডভোকেট আব্দুল হক।
বৈঠক শুরুর আগে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী সুনামগঞ্জের ৫ টি আসনের ১১ জন কে ডেকে নেন।
বিকাল সোয়া তিন টায় সভার শুরুতেই দলীয় মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওই ১১ জনের উদ্দেশ্যে দলীয় নির্দেশনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে আপনাদের ডাকা হয়েছে। দলীয় মনোনয়ন আপনারা যারা এসেছেন তাদের মধ্যে প্রতি আসনে এক জন করে দেওয়া হবে। পার্লামেন্ট মেম্বার ছাড়াও আপনাদেরকে দায়িত্ব দেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা আছে, মনোনয়ন যারা পাবেন না, তাদেরকে সেখানে (ইঙ্গিতে দলীয় দায়িত্বের কথা বুঝান) কাজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। এই সভা থেকে ফিরে গিয়ে আপনারা ধানের শীষের পক্ষে কেবল প্রচারণা চালাবেন। প্রচারণায় কেউ কারো সমালোচনা করে কথা বলবেন না। দল যাকে মনোনয়ন দেবে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে থাকতে হবে।” পরে একজন একজন করে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বক্তব্য শুনেন তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির স্বাক্ষর ক্ষমতাপ্রাপ্ত সদস্য অ্যাড. আব্দুল হক বললেন, আমাদের দোষারোপ করা ঠিক হবেনা। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।
এ খবর বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে তৃণমূলের বিএনপির সাধারণ ভোটারদের মনে স্বস্তি ফিরেছে।
এফপি/অআ