পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষণার পর আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণকারী একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা মো: এহসান হিরণকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতের পাঠানো হয়েছে বলে জানান ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন।
গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঘোষেরহাট বাজার থেকে হামলাকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
মো: এহসান হিরণ (৪০) বালিপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে। এহসান হিরণ বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির রায় ঘোষণা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল। তখন বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এহসান হিরণ এলাকায় প্রকাশ্যে আনন্দ উল্লাস করে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে আত্মগোপনে ছিলেন। শনিবার রাতে ঘোষেরহাট বাজারে স্থানীয় লোকজন হিরণকে দেখতে পেয়ে আটক করে। প্রথমে তারা তাকে মিষ্টি খাওয়ায়,পরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আলী হোসেন বলেন, স্থানীয়রা হিরণের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েই গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মারুফ হোসেন বলেন, ঘোষেরহাট বাজারের বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিরণকে আটক গণধোলাই দেয়। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রোববার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এফপি/রাজ