২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বিকাল ৩টার কিছু পরের কথা। ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় একটি বিজয় মিছিল শুরু হয়। মিছিলটির সম্মুখ সারিতে ছিলেন মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের মৃত হারুন অর রশিদের একমাত্র ছেলে আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহ্।
পরিবারের অভিযোগ, আশুলিয়া থানা পুলিশ মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি চালায়। এই হামলায় আশরাফুল্লাহ্ ঘটনাস্থলেই শহীদ হন। গুলি তার বুক চিরে বেরিয়ে যায়।
আশরাফুল্লাহর মা আছিয়া খাতুন বলেন, “আমার ছেলে শহীদ হয়েছে দেশের জন্য, আমি কাঁদি না গর্ব করি। ছেলে শহীদ হয়েছে, এতে আমার আফসোস নাই। ওর স্বপ্ন বাস্তবায়ন দেখতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আশরাফুল বদলে দিতে চেয়েছিলো দেশটাকে। মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতিমুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখত সে। ও আমাকে বারবার বলতো মা, বিজয় আমাদের হবে। শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান হবেই।”
একইভাবে কান্না জড়িত কণ্ঠে বড় বোন সাইয়েদা আক্তার বলেন, “একমাত্র ভাই ছিলো ও। খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো। অনেক স্বপ্ন ছিল ওকে নিয়ে। আজ আমরা নিঃস্ব। ওরা যে স্বপ্ন নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলো, তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
কিছুক্ষণ পর আশরাফুল্লাহ নিজেই রক্তাক্ত হাতের ছবি ব্যক্তিগত ফেসবুকে আইডিতে পোস্ট করেন। আতঙ্কিত হয়ে পড়ে পরিবার। এরপর বহুবার ফোন করলেও কোনো সাড়া মেলেনি। রাত ৮টার দিকে তার এক বন্ধু ফোন করে জানায়, “আশরাফুল গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়েছেন।”
এফপি/রাজ