ভাঙচুরসহ নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ পরান আলম রাব্বী। তার গ্রেপ্তারের ঠিক ৪ দিনের মাথায় সন্তান জন্ম দিয়ে মারা গেলেন তার স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়া।
গত ১৯ জুলাই রাতে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ পরান আলম রাব্বী খানকে গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। পর দিন ২০ জুলাই তাকে পুলিশ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ওই সকালেই অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়ার প্রসব ব্যাথা ওঠে। পরে স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়ার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এবং লাইফ সাপোর্টে চিকিৎধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। আদালত রাব্বীকে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জামিন দেন। তার স্ত্রীর নামাজে জানাজা বাদ মাগরিব অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরের স্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহ পরান আলম রাব্বীর চাচা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল। শাহ পরান আলম রাব্বী ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি ওই ইউনিয়নের গজারিয়া এলাকার খান বাড়ির মাহবুবুল আলমের ছেলে।
শাহ পরান আলম রাব্বীর চাচা ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সোহেল বলেন, রাব্বী স্ত্রী নুসরাত জাহান ফারিয়ার প্রসব ব্যাথা ওঠে। এরপর ফরিদগঞ্জ লাইফ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৩ জুলাই রাতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয় এবং লাইফ সাপোর্টে রাব্বির স্ত্রী মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাবেক এমপি ড. শামছুল হক ভূঁইয়ার অনুসারী। তিনি এমপি থাকাকালীন আমরা দলীয় পদ পেয়েছি। যখন সাংবাদিক শফিকুর রহমান এমপি হয়েছে। তখন আমাদের মামলা দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করেছেন। তখন থেকে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছি। দলের কাউন্সিল না হওয়ায় আমাদের পদগুলো রয়ে গেছে। এ নিয়ে আমরা ব্রিফিং করেছিলাম। আমাদের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মামলা করেছে। এ মামলায় আমিও জেল খেটেছি। এখন আমার ভাতিজাও জেল খেটেছে। তার সবকিছুই হারিয়ে গেল।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি শাহ আলম বলেন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনকালে ভাঙচুরসহ নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি এ মামলার এজাহারভূক্ত আসামি।
এফপি/এমআই