টঙ্গীবাড়ীতে প্রকাশ্যে আজিজ (৩২) নামের এক অটোরিকশা চালক কে মারধরের ঘটনায় থানায় অভিযোগের ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা রুজু হয়নি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি এবং বাজারের সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও স্পষ্ট অটোরিকশা চালককে মারধরের সত্যতা পেয়েছেন। তবু কী কারণে মামলা রুজু করছেন না তা বাদি আজিজ এর কাছে অজানা ঠেকছে।
মামলার বাদি আজিজ বলেন, “গত ২৮ জুন সন্ধ্যায় কলমা থেকে রিজার্ভ ভাড়ায় হাসাইল যাই পরে ওইদিন যাত্রীদের নিয়ে আসার পথে হাসাইল বাজারের সামনে গাড়ি থামিয়ে মান্দ্রা গ্রামের মৃত কাশেম ঢালীর ছেলে উজ্জ্বল ও জুবায়ের ৭/৮ জন লোক নিয়ে প্রথমে গাড়ির গতিরোধ করে। পরে গাড়ির চাবি নিয়ে যায় এবং বাজারে অনেক মানুষের সামনেই আমাকে মারধর করে। পরে বাজারের দোকানদারেরা আসলে তারা চলে যায়। যার প্রমাণ ওই বাজারের দোকানদারেরা এবং বাজারের সিসি ক্যামেরায় আছে।”
“হামলাকারীরা চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে আমি গাড়ি ও যাত্রীদের নিয়ে কলমা আসার পথে কাইচমালধা ব্রিজের সামনে তারা ২য় দফায় আমার উপর হামলা করে। প্রায় ২৩ দিন অতিবাহিত হলো পুলিশ এখানো আসামিদের ধরছে না। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাহিদ স্যারকে মামলার বিষয়ে ফোন দিলে তিনি বলেন এখনো তদন্ত চলতাছে।”
তিনি আরো বলেন, “জাহিদ স্যার যেদিন হাসাইল বাজারে তদন্ত করতে যায় সেদিনও হাসাইল মাছ ঘাটে আসামিদের সাথে তাকে কথা বলতে দেখি।”
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী হাসাইল বাজারের একাধিক দোকানদার বলেন, হঠাৎ করে ৭/৮ জন যুবক এসে এক অটোরিকশা চালকের গাড়ি থামিয়ে চর থাপ্পড় মারে পরে আমরা ওই যুবকদের সরিয়ে দেই এবং গাড়িচালক কে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে পরে চলে যেতে বলি।
তারা আরো বলেন, ওই ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ এসে আমাদের জিজ্ঞেস করে এখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেছে কিনা পরে আমরা পুলিশ কে বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলি। এদিকে বাজারের সিসি ক্যামেরায় ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।
তদন্ত কর্মকর্তা টঙ্গীবাড়ী থানার এসআই জাহিদুল বলেন, বাদী কে নতুন করে জিডি করতে হবে এবং আসামি আরো বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিদুল ইসলাম বলেন, মামলাটির বিষয়ে এসআই জাহিদুল এর সাথে কথা বলে দেখবো।
এফপি/রাজ