Dhaka, Tuesday | 29 July 2025
         
English Edition
   
Epaper | Tuesday | 29 July 2025 | English
মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশি আটক
লোহাগাড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ ডাকাতদলের সদস্য আটক
কপোতাক্ষে ভাঙল বাঁশের সাঁকো, বিচ্ছিন্ন মধুসূদনের স্মৃতিবিজড়িত সাগরদাঁড়ি
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক থেকে বিএনপির ওয়াকআউট
শিরোনাম:

শাহীন ডাকাতের সেকেন্ড ইন কমান্ড গর্জনিয়ার ত্রাস রহিম অধরা

প্রকাশ: সোমবার, ১৪ জুলাই, ২০২৫, ১১:১৫ পিএম  (ভিজিটর : ৬৭৮)

হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই, চোরাকারবারি, জমিজবর দখল সরকারি কর্মকর্তাকে মারধরসহ ডজন খানেক মামলার আসামি গর্জনিয়ার শাহীন ডাকাতের সেকেন্ড ইন কমান্ড থিমছড়ির জালাল আহমদের ছেলে রহিম উল্লাহ এখনো আইন শৃংখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে।

শাহিন ডাকাত জেলে থাকলেও এখন গ্রুপের কাজ চালাচ্ছে এই রহিম উল্লাহ  এমনটা খবর পাওয়া গেছে । রাতের আধারে ভারী অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা , কারো জমি জবর দখল করতে হলে মানুষের সামনে অস্ত্রের মাধ্যমে ভয় দেখিয়ে চুপ করে রাখা এখন তার কাজ।  রামুর গর্জনিয়াতে যতগুলো হত্যা হয়েছে এসবের মধ্যে রহিম উল্লাহর সক্রিয় ভূমিকা থাকতে পারে বলে মনে করছেন এলাকাবাসি। যা জিজ্ঞাবাদের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পারে। 

সূত্রে জানা যায়, রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড়ের থিমছড়ি এলাকার বাসিন্দা জালাল আহমদের ছেলে রহিম উল্লাহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ক্ষতি হওয়ার পর গর্জনিয়ার আলোচিত ডাকাত শাহিনের দলে যোগ দেন। ভারি অস্ত্র নিয়ে চলাফেরার কারণে তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না স্থানীয়রা।  

এদিকে ডাকাত শাহিন যৌথবাহিনীর কাছে আটক হওয়ার পর থেকে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড রহিম গর্জনিয়ার জুমছড়ি এলাকার মইন্নাকাটা এলাকায় বসবাস করছে বলে জানা যায়। রাতের বেলায় বিভিন্ন দোকানে সিগারেট নিতে আসে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। শুরুতে মইন্নাকাটা হয়ে শতশত গরু নিয়ে গেলেও এখন শাহিন কারাগারে থাকার কারণে অনেকটা ভাটা পড়ার কারণে কোন রকম গা ডাকা দিয়ে অপেক্ষা করছে কখন শাহিন বের হবে এবং তাদের রাজত্ব আবার শুরু হবে। এখন শাহিন কারাগারে থাকলেও নিজে দায়িত্ব নিয়ে মাঝেমধ্যে মায়ানমার সিমান্ত থেকে মাদক আনছে বলে খবর রয়েছে। আর এ কাজে সহযোগিতা করছে বেশ কয়েকটি ইয়াবা মামলার আসামি স্থানীয় মৃত মৌ হাসেম এর ছেলে আব্দুল মোমেন প্রকাশ বদু।

গোপনসূত্রে জানা যায়, তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার মডেল থানা ও রামু থানাসহ বেশ কয়েকটি থানায় হত্যা, বিষ্ফোরক, ডাকাতি, জমি জবরদখলসহ ডজন খানেক মামলা রয়েছে। তার মধ্যে রামু থানায় ২০১৭ সালে ১ মার্চ হত্যার চেষ্টাসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা হয়। এই মামলায় বনবিভাগের একজন কর্মচারিকে বেদড়ক মারধর করে ডাকাত রহিম উল্লাহ। বেশ কিছুদিন হাসপাতালে থাকার পর তিনি মারা যান বলে জানা যায়। 

অন্যদিকে হত্যাসহ আরো বেশ কিছু ধারায় অভিযোগ এনে ২০১৩ সালের ১৫ ফ্রেরুয়ারি কক্সবাজার মডেল থানায় এফআইআর হয় এবং একই থানায় ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী ধারা -৬ এ আরেকটি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা যায়। একই তারিখে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে জি আর মামলা হয়। এই মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামি বলে জানা যায়।

এদিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -৪ এ বেশ কিছু ধারা দেখিয়ে সিআর মামলা রয়েছে তার বিরোদ্ধে। এই মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি বলে জানা যায়। অপরদিকে ২০২৩ সালে ৫ নভেম্বর রামু থানার এফআইআর -৮ ও জি আর মামলা নং ৬১৯, একই বছর ৩ ফ্রেরুয়ারি আরেকটি জি আর মামলা হয় যার এফআইআর নং ৩ ও মামলা নং ৪৬ বলে জানা যায়।

একটি বিশেষ সূত্র বলছে, গর্জনিয়ার ত্রাস রহিম উল্লাহর এতগুলো মামলা থাকার পরেও ওয়ারেন্ডভূক্ত আসামি হওয়ার পরেও দোকানে ঘুরে বেড়ানো ও সাধারণ মানুষকে জানের ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে।  এ থেকে পরিত্রান চান এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, “রহিমের কারণে আমরা কথা বলতে পারি না। সে যা বলে তাই আইন হয়ে যায়। তাকে যদি একবার আইনশৃংখলা বাহিনী ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে তবে অনেক তথ্য বের হবে এবং অনেক অস্ত্র উদ্ধার হবে।”

এ বিষয়ে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তৈয়বুর রহমান অফিসে এসে বিস্তারিত বলার অনুরোধ করেন।

এফপি/রাজ
সর্বশেষ সংবাদ  
সর্বাধিক পঠিত  
YOU MAY ALSO LIKE  
Editor & Publisher: S. M. Mesbah Uddin
Editorial, News and Commercial Offices: Akram Tower, 15/5, Bijoynagar (9th Floor), Ramna, Dhaka-1000
Call: 01713-180024, 01675-383357 & 01840-000044
E-mail: news@thefinancialpostbd.com, ad@thefinancialpostbd.com, hr@thefinancialpostbd.com
🔝